জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলেতে প্রচারিত ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও ৫ বাংলাদেশি জিম্মি হয়ে আছেন ইউক্রেনে সেনাদের হাতে। ভিডিওটিতে একজন নিজের পরিচয় রিয়াদুল মালিক দিয়ে কথা বলেছেন। তারা আতঙ্কে আছেন। তাদেরকে উদ্ধার করার আবেদন জানিয়েছেন।
রিয়াদুল বলেন, ‘এই অভিবাসী শিবিরকে ইউক্রেনের সেনারা ঘাঁটি বানিয়েছে। রাশিয়া সেনাঘাঁটি দেখে দেখে বোমা ফেলছে। আমরা অনেক ভয়ে আছি। আমাদের আটকে রেখেছে জিম্মির মতো করে। ১০০’র ওপর মানুষ আছে। রাত হলে বোমার শব্দ শুনতে পাই। গুলির শব্দ শুনতে পাই। লাইট বন্ধ করে দেই। আমরা যেখানে তিনজন মানুষ থাকি, সেখানে ১০ জন এনে রেখেছে।’ শিবিরে থাকা ব্যক্তিদের মারধরের অভিযোগও করেন রিয়াদুল।
রিয়াদুল মালিক সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মাইজগাঁও ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামের আব্দুল মালিক শায়েস্তা মিয়ার ছেলে। ভিডিওটিতে নিজের পরিচয় দিয়ে রিয়াদুল জানান, সেখানে আরও কয়েকজন বাংলাদেশি আছেন। একজন দরজায় পাহারা দিচ্ছেন। তাদের সবার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া হয়েছে। একটি মোবাইল ফোন তারা লুকিয়ে রাখতে পেরেছেন।
দুঃখ ভারাক্রান্ত রিয়াদুলের বাবা আব্দুল মালিক শায়েস্তা বলেন, ‘রিয়াদুল ২০১৮ সালে বিশ্বকাপ খেলার সময় রাশিয়া গিয়েছিল। পরে রাশিয়া থেকে ইউক্রেনে চলে যায়। আগে ফোনে কথা বলেছি আমার ছেলেটির সঙ্গে। কয়েকদিন ধরে কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। খুব টেনশনে আছি। তার মা তো প্রায় বাকহারা।’
ভিডিওতে রিয়াদুল আরও বলেন, ‘আমাদের মারছে। ইউক্রেনের অন্য ক্যাম্পগুলোর সবই বোমা ফেলে উড়িয়ে দিয়েছে এরইমধ্যে। এই শিবিরটা শুধু আছে। আমরা জানি না, আমাদের জীবনের নিশ্চয়তা কতটুকু আছে। আমি আকুল আবেদন জানাচ্ছি, আমাদের এখান থেকে উদ্ধার করার জন্য।’ তিনি বলেন, ‘আমরা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। আমরা বেলারুশ থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে ইউক্রেনে আছি। যেকোনো সময় যেকোনো কিছু হতে পারে।’