বাংলাদেশে গত ১৩ বছরে মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে। মাথাপিছু আয় বেড়েছে। ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে প্রায় তিন গুণ। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেছেন।ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপকমিটি রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে আজ রোববার এ আলোচনা সভা আয়োজন করে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে গত ১৩ বছরে মানুষের মাথাপিছু আয় ৬০০ ডলার থেকে ২ হাজার ৬০০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ প্রায় সাড়ে চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও প্রায় তিন গুণ বেড়েছে। প্রতিটি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে।’
আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে একটি নিরস্ত্র জাতি সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তরিত হয়ে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল। আর জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে দেশ পৃথিবীকে অবাক করে দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।’আজকাল গ্রামে হারিকেন দেখা যায় না উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘হারিকেন, চেরাগ, কুপি, বাতি এখন ড্রয়িংরুমে সাজিয়ে রাখতে হবে। গত ১০ বছরে কৃষিতে যে উন্নয়ন হয়েছে, তাতে শিশুরা এখন হালের বলদ চেনে না। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা এগুলো দেখেও দেখেন না।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘এই যে পরিবর্তন, এটি শেখ হাসিনার কারণে। আর মির্জা ফখরুল সাহেবরা দুর্নীতিতে দেশকে পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিল। হাওয়া ভবন বানিয়ে সমান্তরাল সরকার পরিচালনা করেছেন ও সমস্ত ব্যবসার ওপর টোল বসিয়েছেন। তাঁরা মানুষকে এগুলোই দিতে পেরেছেন, অন্য কিছু নয়।’
আজকে প্রতিটি মানুষ ভালো আছে। অথচ মির্জা ফখরুল সাহেবরা মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য, বিভ্রান্ত করার জন্য নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করছেন—অভিযোগ করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আজকে দেশ বদলে গেছে। কবিতায় কুঁড়েঘর আছে। বাস্তবে সহজে খুঁজে পাওয়া যায় না। যে ছেলে ১২ বছর আগে বিদেশ গেছে, সে এসে শহর-গ্রাম চিনতে পারে না। আজ শহরের একটি ছেলের সাথে গ্রামাঞ্চলের ছেলের বেশভূষার কোনো পার্থক্য নেই।’