ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় হত্যাকাণ্ডের শিকার অটোরিকশাচালক নাজিরুল ইসলামের (৪০) হত্যা রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পুলিশ খুনের রহস্য উদ্ঘাটন করে। মূলত টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের হাতে আটক জুলহাস ওরফে শাহীন (৩৮) নামের এক ঘাতক এরই মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
মো. নাজিরুল ইসলাম নামে ব্যাটারিচালিত এক অটোরিকশা চালককে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করা হয়। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ গ্রামের আবু সালেকের ছেলে। তিনি আখাউড়া পৌর এলাকার দুর্গাপুরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। ঘটনার দিন রাত দেড়টায় পৌর এলাকার মসজিদ পাড়া বাইপাস থেকে তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আমলি আদালত-৩-এর ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান রকি এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জুলহাস ও মো. হানিফ (৫৫) নামের দুজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে আরো একজন জড়িত বলে পুলিশ নিশ্চিত হতে পেরেছে।
আখাউড়া থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান জানান, পৌর এলাকার সড়ক বাজার থেকে খড়মপুর যাওয়ার জন্য নাজিরুলের অটোরিকশা ভাড়া করা হয়। পথিমধ্যে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে চালক নাজিরুলকে হত্যা করে তিনজন। এর মধ্যে দেবগ্রামের মালু মিয়ার ছেলে মো. হানিফের কাছে চোরাই মোবাইল ফোনটি ছিল। এরই সূত্র ধরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। হানিফের স্বীকারোক্তি মতে হবিগঞ্জের আনোয়ারপুর এলাকার বর্তমানে আখাউড়া লাল বাজার এলাকার বাসিন্দা জুলহাসকে গ্রেপ্তার করা হয়।