অপরাধঢাকাবাংলাদেশরাজধানী

পল্লবীতে স্থানীয় দুটি গ্যাংয়ের দ্বন্দ্বের জেরে ব্যবসায়ী জাহিদ খুন

রাজধানীর পল্লবীতে মাছ ব্যবসায়ী জাহিদ হাসানকে (২৫) হত্যার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গতকাল শনিবার থেকে আজ রোববার পল্লবী ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। র‍্যাব বলছে, স্থানীয় দুটি গ্যাংয়ের দ্বন্দ্বের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

২২ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে পল্লবীর বাংলা স্কুলের সামনে আড্ডা দেওয়ার সময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন ব্যবসায়ী জাহিদ, তাঁর বন্ধু কামরান ও হাসান। তাঁদের হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান জাহিদ। এ ঘটনায় তাঁর পরিবার একটি হত্যা মামলা করে।

আজ দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৪–এর অধিনায়ক মোজাম্মেল হক বলেন, পল্লবীর ওই এলাকায় গ্যাং কালচারের প্রবণতা রয়েছে। সিনিয়র গ্রুপ ও জুনিয়র গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে, যারা চুরি-ছিনতাই ও মাদক কেনাবেচায় জড়িত। নিহত জাহিদ জুনিয়র গ্রুপের সঙ্গে জড়িত। গ্রেপ্তার চারজন সিনিয়র গ্রুপের।

মোজাম্মেল হকের ভাষ্যমতে, ঘটনার দিন গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জুনিয়র গ্রুপ ও সিনিয়র গ্রুপের মধ্যে মাদক নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা হলে জাহিদকে মারধর করা হয়। পরে ইফরান ও ডলারের নেতৃত্বে ১৫-১৬ যুবক রাতে ছুরি, হকিস্টিক ও রড নিয়ে পল্লবী সি ব্লকের কাঁচাবাজার পেঁয়াজপট্টি এলাকায় জুনিয়র গ্রুপের জাহিদসহ কয়েকজনের ওপর আক্রমণ চালান। এলোপাতাড়ি আঘাতে জাহিদ ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। পরে ইফরান তাঁর পেটে ছুরিকাঘাত করেন।

গ্রেপ্তার চারজন হলেন মো. ইফরান ওরফে ডামরু (২৪), মো. ডলার হোসেন (২৫), মো. রাজা হোসেন (২২) ও মো. কোরবান (২৫)।সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব জানায়, জাহিদ পল্লবীর বেনারসিপট্টি এলাকায় সপরিবার থাকতেন। একসময় তিনি ছিলেন বাসচালক। করোনা মহামারির মধ্যে পেশা বদলে মাছের ব্যবসা শুরু করেন। গ্রেপ্তার চারজনও কাছাকাছি এলাকার বাসিন্দা।

হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইফরান পল্লবীর জল্লা ক্যাম্পে থাকেন। সেখানে একটি জুতার কারখানায় কাজ করেন তিনি। র‍্যাব বলছে, চুরি-ছিনতাই ও মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে। গ্রেপ্তার ডলারও একই ক্যাম্পে বসবাস করেন। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়া ডলার একসময় ডিমের দোকানে কাজ করতেন। তিনি সিনিয়র গ্রুপের সক্রিয় সদস্য ও মাদকাসক্ত।

আর গ্রেপ্তার রাজা পরিবারের সঙ্গে স্থানীয় মুসলিম ক্যাম্পে বসবাস করেন। বিএ পাস করে তিনি একটি এনজিওতে কাজ করেছেন। এখন গ্যাং গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। এ ছাড়া কোরবান সপরিবার জল্লাক্যাম্পে থাকেন। মিষ্টির দোকানে কাজ করার পাশাপাশি তিনি চুরি–ছিনতাইয়ে জড়িত।

Back to top button