ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করায় রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপানসহ বিভিন্ন দেশ ও সংগঠন। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে রাশিয়ায় থাকা পশ্চিমা বিভিন্ন সংস্থা ও কোম্পানির তহবিল জব্দ করবে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। খবর রয়টার্সের।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংবাদ সংস্থা আরআইএ নভোস্টির বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, সাম্প্রতিক ইস্যুতে রাশিয়ার বেশ কিছু ব্যাংক ও ব্যবসায়ীর পাশাপাশি খোদ প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমা জোট। পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে রাশিয়াও তার দেশে থাকা বিদেশিদের সম্পদ বাজেয়াপ্তের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।
ইউক্রেনে যুদ্ধের জেরে আর্থিক, প্রযুক্তি ও বাণিজ্য খাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে রাশিয়াকে আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট। তারা রাশিয়ার বিভিন্ন ব্যাংক ও ব্যবসায়ীর সম্পদ বাজেয়াপ্তসহ রুশ গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্পের টাকাও বাজেয়াপ্ত করেছে। এ ছাড়া সেমিকন্ডাক্টরের মতো প্রযুক্তিপণ্যের বাজারে রাশিয়ার প্রবেশগম্যতা সীমিত করা হয়েছে।
শনিবার এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের উপপ্রধান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। তিনি বলেন, রাশিয়ায় বিদেশি নাগরিক ও বিদেশি কোম্পানির তহবিল জব্দ করে রাশিয়ার নাগরিক ও কোম্পানির অর্থ জব্দের জবাব দেবে তাঁর দেশ। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্যান্য বন্ধুসুলভ নয়, এমন নিবন্ধিত কোম্পানিগুলোর সম্পদের জাতীয়করণের সম্ভাবনা মস্কো নাকচ করছে না বলে জানান মেদভেদেভ।
নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর গতকাল রাশিয়ার স্টক মার্কেট গত সাড়ে চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে। ডলারের বিপরীতে রাশিয়ার মুদ্রা রুবলেরও মানও অনেক কমে গেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, পুতিন এ যুদ্ধ বেছে নিয়েছেন। এখন তিনি ও তাঁর দেশ এর ফল ভোগ করবে।