চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করছেন রুশ সেনারা

ইউক্রেনের চেরনোবিলে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করছেন রুশ সেনারা। স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার টুইটারে এক পোস্টে এমন দাবি করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। খবর সিএনএনের। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশের পর আজ বেলারুশ ও ক্রিমিয়া থেকে ইউক্রেনে প্রবেশ করেন রুশ সেনারা। দেশটির একাধিক শহরে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। প্রথম দিনই ইউক্রেনের ৭৪টি সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া।

১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিল চেরনোবিলে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। সে সময় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনা করত সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন। ওই ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যু হয় ৩১ জনের।ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অপর এক টুইটে বলেছে, ১৯৮৬ সালে চেরনোবিলে সবচেয়ে বড় প্রযুক্তিগত বিপর্যয় দেখেছে বিশ্ব। যদি রাশিয়া যুদ্ধ চালিয়ে যায়, তাহলে ২০২২ সালেও একই ঘটনা ঘটতে পারে।

রাশিয়া-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা একটি শহরে হামলা করার পর তা প্রতিহত করার সময় প্রায় ৫০ জন ‘দখলদার রুশ’ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। রুশ হামলায় উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে মার্শাল ল জারি করেছেন ভলোদিমির জেলেনস্কি।

টুইটারে জেলেনস্কি লেখেন, ‘রাশিয়ার দখলদার বাহিনী চেরনোবিল দখল করার চেষ্টা করছে। ১৮৮৬ সালের বেদনাদায়ক ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, সে জন্য আমাদের প্রতিরোধ সেনারা নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিচ্ছেন।’এখন পর্যন্ত রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনের ৪০ সেনাসদস্য ও ১০ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কিয়েভ। পাল্টা জবাবে রাশিয়ার ছয়টি বিমান ও একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটি।

Exit mobile version