ইউরোপএক্সক্লুসিভবিশ্ব সংবাদব্রেকিং নিউজ

ইউক্রেনে অভিযানের প্রথম দিনই প্রায় রাজধানী পর্যন্ত পৌঁছে গেছে রুশ সেনারা

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠের গোস্তোমেল বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে লড়ছে ইউক্রেনের সেনারা। আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ভালেরি জালুঝনি।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, রুশ হামলার শিকার বিমানঘাঁটির অবস্থান কিয়েভের অ্যান্টোনভ বিমানবন্দরের পাশেই। সেখানে হামলার অর্থ হলো, ইউক্রেনে অভিযানের প্রথম দিনই একেবারে রাজধানী পর্যন্ত পৌঁছে গেছে রুশ সেনারা।গোস্তোমেল বিমানঘাঁটিতে লড়াইয়ের বিষয়টি এক ফেসবুক পোস্টে নিশ্চিত করেছেন ভালেরি জালুঝনি। ঘাঁটির ওপর দিয়ে একাধিক রুশ হেলিকপ্টার উড়ে যেতে দেখেছেন ঘটনাস্থলে থাকা এএফপির সাংবাদিকেরা। হেলিকপ্টারগুলো উত্তর দিক থেকে এসেছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

রাশিয়ার হামলা ও ইউক্রেনের সেনাদের প্রতিরোধযুদ্ধ নিয়ে প্রকাশিত একাধিক ছবিতে পূর্ব ইউক্রেনের চুগুয়েভ ও খারকিভ অঞ্চলের কাছে একটি সামরিক বিমানঘাঁটি থেকেও ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে। ছবিগুলোর সত্যতা যাচাই করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। তবে সেগুলো কারা ধারণ করেছেন, তা জানা যায়নি।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশের পর স্থানীয় সময় আজ ভোর থেকেই ইউক্রেনের স্থল, আকাশ ও নৌপথে হামলা চালানো শুরু করে রাশিয়া। শুরু হয় ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া। হামলায় ইউক্রেনের ৪০ সেনা ও ১০ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কিয়েভ।

গোস্তোমেল ঘাঁটির কাছেই থাকেন ৩০ বছর বয়সী আলেকজান্ডার কভতোনেনকো। এএফপিকে তিনি বলেন, ঘাঁটিকে ঘিরে লড়াই চলাকালে দুটি রুশ যুদ্ধবিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এরপর তিন ঘণ্টা ধরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি চলে। পরে আরও তিনটি যুদ্ধবিমান উড়ে গেলে আবার গোলাগুলি শুরু হয়।

এদিকে হামলার পাল্টা জবাবে রাশিয়ার ছয়টি বিমান ও একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এ ছাড়া রাশিয়া-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা একটি শহরে হামলা করার পর তা প্রতিহত করার সময় প্রায় ৫০ জন ‘দখলদার রুশ’ নিহত হয় বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী।

Back to top button