কুখ্যাত আন্তর্জাতিক মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিম গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগে মহারাষ্ট্র সরকারের মন্ত্রী নবাব মালিক এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভারতীয় রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে। শারদ পাওয়ার এর এনসিপির এই মন্ত্রী মহারাষ্ট্রে সংখ্যালঘু দপ্তরের দায়িত্বে ছিলেন।
কুরলায় একটি তিন একরের সম্পত্তি গ্রাস করার জন্যে হাসিনা পারকারের সঙ্গে যৌথ অপারেশন চালান নবাব মালিক। স্বয়ং হাসিনা পারকারের ছেলে এই টিপস দিয়েছেন ইডিকে। সরাসরি দাউদ ইব্রাহিম গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নবাব মালিক।
শিবসেনা নবাব মালিকের গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়টিকে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির একটি সুচতুর চাল বলে মনে করছে।মোদি সরকার নিজেদের ফের প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে ইডি, সিবিআইকে ব্যবহার করছে, এই অভিযোগে সরব তারা। আগামীদিনে এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে ঝড় ওঠার সম্ভাবনা প্রবল।
রাজনৈতিক মহলের আশংকা, এনসিপিকে চাপে ফেলতেই মোদি সরকারের এই চক্রান্ত। মমতা বন্দোপাধ্যায় শারদ পাওয়ারকে টেলিফোন করে এই উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। ইডির সাফ বক্তব্য, দাউদের প্রয়াত দিদি হাসিনা পারকারের মাধ্যমে দাউদ গ্রুপকে নিয়মিত ফান্ডিং করতেন নবাব মালিক।