রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় স্বামীর বাড়ি থেকে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় স্বামীর বাড়ি থেকে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সোটাপীর গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ওই গৃহবধূর নাম বিথী আক্তার ওরফে বৃষ্টি (১৬)। ঘরে লাশ ফেলে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছেন।

বদরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নুর আলম বলেন, গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে যান তাঁরা। বিথীর লাশ তার স্বামীর ঘরের খাটের ওপর পড়েছিল। তার মাথায় ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে হত্যা করা হয়েছে। বিথীর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন ঘরে লাশ ফেলে গা ঢাকা দিয়েছেন।

লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিথী আক্তারের স্বামী ও শ্বশুরের পরিবারের লোকজনকে আটক করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হত্যার ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

বিথীর বাবা বুলবুল আহম্মেদ বলেন, ‘যৌতুক না পেয়ে ওরা আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। মেয়েকে তো আর ফিরে পাব না। কিন্তু আমি তাদের কঠিন শাস্তি চাই, যেন এমন জঘন্য ঘটনা কেউ কখনো ঘটানোর সাহস না পায়। কোনো মা–বাবার বুক যেন এভাবে আর কেউ খালি করতে না পারে।’

স্থানীয় লোকজন ও ওই গৃহবধূর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিথী আক্তারের বাবার বাড়ি বদরগঞ্জ উপজেলার কাঁচাবাড়ি খামারপাড়া গ্রামে। প্রায় ছয় মাস আগে সোটাপীর গ্রামের এমদাদুল হকের ছেলে লিটন মিয়ার (২২) সঙ্গে তার বিয়ে হয়। লিটন মিয়া মাদকাসক্ত। বিয়ের পর থেকে দুই লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই বিথীকে মারধর করতেন তিনি।

Exit mobile version