চট্টগ্রাম কাস্টমস থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল ও কার্তুজ উদ্ধারের ঘটনায় আটক ১

চট্টগ্রাম কাস্টমস থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল ও কার্তুজ উদ্ধারের ঘটনায় মজুমদার কামরুল হাসান নামে চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-১-এর এক কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে। নিজের এক বন্ধুর মাধ্যমে তিনি ইতালি থেকে অস্ত্রগুলো কিনে বৈদেশিক ডাকে দেশে এনেছিলেন।

জানা যায়, অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাওয়ার পর মজুমদার কামরুল হাসান মোবাইল বন্ধ করে হালিশহরের শ্বশুরবাড়িতে আত্মগোপনে চলে যান। পরে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডবলমুরিং ও হালিশহর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।

সোমবার রাত ১১টার দিকে নগরের হালিশহরের আই ব্লকের ৬ নম্বর রোডের খালপাড়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।গ্রেপ্তার মজুমদার কামরুল হাসান নগরীর সিজিএস কলোনির বাসিন্দা। তিনি আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনি সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক।

গত ২০শে ফেব্রুয়ারি ইতালি থেকে রাজীব বড়ুয়া মুন্না নামের এক ব্যক্তি মজুমদার কামরুল হাসানের কাছে বৈদেশিক ডাকে একটি পার্সেল পাঠান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম কাস্টমসের প্রিভেন্টিভ শাখা জানতে পারে, পার্সেলের প্যাকেটে অবৈধ বস্তু রয়েছে।

পরে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এই পার্সেলের প্যাকেট খুলে গৃহস্থালি পণ্যের সঙ্গে কাগজে মোড়ানো দুটি পিস্তল ও ৬০ রাউন্ড কার্তুজ পায়। একটি পিস্তলের গায়ে জিএপিকেএএল ৮এমএমকে লেখা।আর ওজন লেখা আছে ৯৪০ গ্রাম। আরেকটির গায়ে লেখা, ৬এমএম বি বেরেটা পিএক্স৪ স্টর্ন। এই ঘটনায় ওই দিনই প্রেরক রাজীব বড়ুয়া ও প্রাপক মজুমদার কামরুল হাসানকে আসামি করে মামলা করে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ কমিশনার আব্দুল ওয়ারেশ বলেন, ইতালি থেকে বৈদেশিক ডাকে অস্ত্র আনার ঘটনায় জড়িত মজুমদার কামরুল ইসলামকে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে আটক করে বন্দর থানার হস্তান্তর করা হয়েছে। অপর অভিযুক্ত রাজিব বড়ুয়াকেও খোঁজা হচ্ছে। আর এই অস্ত্র কোন উদ্দেশ্য আনা হয়েছে এই নিয়ে বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডাকযোগে ইতালি থেকে পিস্তল পাঠানো রাজীব বড়ুয়া মুন্না পুরনো দাগি আসামি। তার বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজানে। আগে থেকেই তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। এসব মামলায় কয়েকবার জেলেও গিয়েছিলেন তিনি।

একপর্যায়ে ২০০৯ সালে ইতালি পাড়ি দেন। সেখানে থেকে দেশে বিভিন্ন বিভিন্ন অপরাধের সাথে নিজেকে যুক্ত রাখেন তিনি। সম্প্রতি তিনি দেশে এসেছেন। আটক আয়কর বিভাগের কর্মচারী কামরুল তার বাল্যবন্ধু। কয়েকদিন আগেও তিনি কামরুলের সিজিএস কলোনীর বাসায় ‘আড্ডা’ দিয়ে যান। 

Exit mobile version