অপরাধঅর্থ ও বাণিজ্যআইন-আদালতএক্সক্লুসিভঢাকাবগুড়াবাংলাদেশ

প্রতারণার মামলায় ২৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক এক দম্পতিকে পাঁচ বছর পর গ্রেপ্তার

প্রতারণার মামলায় ২৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক এক দম্পতিকে পাঁচ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে বগুড়া সদর থানা পুলিশ। গত শনিবার রাতে ঢাকার ধানমন্ডি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দম্পতি পরিচয় গোপন করে ধানমন্ডিতে বসবাস করছিলেন। আইনশৃঙ্খল বাহিনীকে ফাঁকি দিতে তারা বিদেশি মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতেন।

বগুড়া সদর থানা পুলিশ সূত্র জানায়, মোস্তফা ঢাকার আদাবরে বেসরকারি একটি ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন। সেখানে তিনি জালিয়াতির মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাত করেন। এজন্য ২০০৮ সালে ব্যাংক থেকে তার চাকরি চলে যায়। একপর্যায়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ২০১১ সালে তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করে। তিনি ও তার স্ত্রী ২০১৩ সালে বগুড়ায় ফিরে গিয়ে সদর উপজেলার হাজরাদিঘিতে দুগ্ধ খামার গড়ে তোলেন। সেখানে স্থানীয়দের চাকরি দেওয়া কথা বলে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করেন।

বগুড়া সদর থানার এসআই জাকির আল আহসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আজ সোমবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার দম্পতি হলেন- শহরের ফুলবাড়ী মধ্যপাড়া এলাকার গোলাম মোস্তফা ও তার স্ত্রী সুমাইয়া ফারজানা।

টাকা আত্মসাতের পর স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় ফিরে আসেন মোস্তফা। ঢাকায় ২০১৫ সালে কথিত হজ এজেন্সি গড়ে তোলেন। তার নিজ এলাকার ও তার স্ত্রীর বাপের বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের মানুষদের হজে পাঠানোর কথা বলে সেখানেও লাখ লাখ টাকা তারা আত্মসাত করেন। এসব ঘটনায় মোস্তফার বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা হয়।

২০১৭ সালে প্রথম একটি মামলায় তাকে ১৬ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এরপর প্রতারক দম্পতি নিজেদের জাতীয় পরিচয়পত্র বদলে দুবাই পালিয়ে যান। এর মাঝে ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মোট ৯ মামলায় মোস্তফাকে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। পাশাপাশি ২০১৯ সালে তার স্ত্রীর সুমাইয়ার প্রতারণার একটি মামলায় এক বছরের কারাদণ্ড হয়। 

Back to top button