সাত বছর আগে অবৈধ পথে ফ্রান্সে যান চোর চক্রের হোতা নাসির আহমেদ। বিদেশে যাওয়ার আগে তিনি প্রায় ১৫ বছর পেশাদার চুরির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আর এখন ফ্রান্সে বসে চোর চক্র চালান নাসির। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) এসব কথা জানায়।
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, বিদেশে বসে চোর চক্র চালান নাসির। ঢাকায় বাসা ভাড়া করে চক্রের সদস্যদের রাখা ও তাঁদের যাবতীয় খরচের জন্য তিনি বিদেশ থেকে টাকা পাঠান। চুরির পরে টাকা ভাগাভাগি করে নেন চক্রের সদস্যরা। এ টাকার সিংহভাগ পেতেন নাসির আহমেদ।
ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, নাসির আহমেদের বাড়ি বাগেরহাট জেলায়। নাসিরসহ চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাসহ একাধিক থানায় মামলা রয়েছে। তিনি বলেন, নাসির গ্রেপ্তার মঞ্জুরুল হাসানের দুলাভাই। তবে তাঁর বোনের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। মঞ্জুরুল হাসান নাসিরের সঙ্গে রয়ে গেছেন।
৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর কচুক্ষেত রজনীগন্ধা টাওয়ারে রাঙ্গাপরী জুয়েলার্স থেকে প্রায় ৩০০ ভরি সোনা ও টাকা চুরির ঘটনায় চোর চক্রের সদস্য মঞ্জুরুল হাসান শামীমকে (৩৮) গ্রেপ্তার করে ডিবি। গতকাল শনিবার গাজীপুর ও মুন্সিগঞ্জে অভিযান চালানোর পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ সাড়ে ৯ লাখ টাকার অলংকার উদ্ধার করা হয়।
ডিবি জানায়, এ চক্রের দুই সদস্য মাসুদ ও ইলিয়াস মিথ্যা নাম ও পরিচয় ব্যবহার করে ওই মার্কেটে নিরাপত্তাকর্মী (সিকিউরিটি গার্ড) ও সুইপারের চাকরি নেন। দোকানে চুরির পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য চক্রের অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করতে থাকেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী চক্রের আরেক সদস্য শাহীন মাস্টার ওই মার্কেটে একটি দোকান ভাড়া করেন। পরে মালামাল তোলার নাম করে কৌশলে তালা ভাঙার সরঞ্জামাদি মার্কেটে প্রবেশ করান। ঘটনার দিন চক্রের আরও দুই সদস্য শ্রীকান্ত ও তালা ভাঙার মিস্ত্রি রাজা মিয়া মার্কেটে প্রবেশ করেন। পরে সবাই মিলে সোনার দোকানে চুরি করেন।
ডিবি আরও জানায়, চুরির পর সোনা ও টাকা নিয়ে কেরানীগঞ্জ থানাধীন হাসনাবাদে ভাড়া বাসায় যান। পরে শ্রীকান্ত চুরি করা সোনা তাঁর পূর্বপরিচিত এক সোনা ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে বাসা থেকে পালিয়ে যান।এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের আগে পুলিশ ভেরিভিকেশন করা দরকার।