ধর্ষণের অভিযোগে দায়ে করা নারী নির্যাতনের মামলায় ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এইচএম আখতারুজ্জামান বাচ্চু পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।
মামলার পর দিন থেকে আখতারুজ্জামান বাচ্চুর মুঠোফোনে একাধিবার কল দিলেও নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। পুলিশ বলছে, মোবাইল বন্ধ রেখে আত্মগোপনে থাকলেও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে খোঁজে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।
আখতারুজ্জামান বাচ্চু নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের তিনবার নৌকার মনোয়ন নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে কুলকাঠির চেয়ারম্যানের দায়িত্বের সঙ্গে নলছিটি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করছেন।
রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার এসআই আলাউল হক বলেন, ‘আখতারুজ্জামান বাচ্চুকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।এছাড়া অভিযোগকারী নারীর কাছ থেকে নেওয়া বিভিন্ন ভিডিও, ছবিসহ অন্যান্য তথ্যাদি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আশা করছি শিগগির আসামি গ্রেপ্তার হবে। ’
জানা যায়, ওই নারীর আর্থিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাকে চাকরি দেবে বলে ঢাকায় এনে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করেন। পরে বিয়ের আশ্বাসে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। পরে ওই নারী বিয়ের চাপ দিতে থাকলে তাকে হুমকি দমকি দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে বিয়ে ও চাকরির নামে ধর্ষণের দায়ে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় আখতারুজ্জামান বাচ্চুসহ দুজনের নামে মামলা করা হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১)/৩০ ধারায় মামলাটি হয়েছে। মামলার অপর আসামি ওই কাজে সহযোগীকে (নারী) পরদিন সকালে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা এবং ভুক্তভোগী ওই নারী সবাই একই ইউনিয়নের বাসিন্দা।
খিলগাঁও থানার ওসি ফারুকুল আলম বলেন, ‘এ মামলায় এক নারীকে আটক করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া মামলার অপর আসামির বিষয়ে সার্বিক খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। ’