কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় রোহিঙ্গা তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় করা মামলায় গতকাল শুক্রবার রাতে মো. ফারুক (৩০) নামের বাসের এক হেলপারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় চালক ও সুপারভাইজার পালিয়ে গেলেও বাসটি জব্দ করা হয়।গ্রেপ্তার ফারুক ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ছগিরশাহকাটা দক্ষিণ পাহাড় গ্রামের আবু সৈয়দের ছেলে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই তরুণী কক্সবাজার উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ১ নম্বর ব্লকের। ৫-৬ দিন আগে কাজের খোঁজে তিনি ক্যাম্প থেকে পালিয়ে চট্টগ্রামে যান। কাজ না পেয়ে ক্যাম্পে ফেরার জন্য হানিফ পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। বাসভাড়া দিতে না পারায় তাঁকে চকরিয়া পৌর বাস টার্মিনালে নামিয়ে দেয় বাসটি। টার্মিনালে দাঁড়িয়ে থাকা শ্যামলী পরিবহনের একটি লোকাল বাসের হেলপার তাঁকে কোথায় যাবেন জানতে চান।
পরে উখিয়া পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ওই কিশোরীকে খালি একটি বাসে তোলেন। এরপর চকরিয়া পৌরসভার বাটাখালী ব্রিজ এলাকায় নিয়ে চালক-সুপারভাইজার ও হেলপার মিলে বাসের ভেতর দলবদ্ধ ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এ সময় ওই তরুণী চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে চালক ও সুপারভাইজার পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে হেলপার মো. ফারুককে পুলিশে সোপর্দ করেন। আগামীকাল রোববার সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে বলে ওই তরুণী মামলায় উল্লেখ করেছেন। মামলায় তরুণী তিনজনকে আসামি করেন। এ বিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের পাঠানো হয়েছে। তরুণীর করা মামলায় তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বাসের হেলপার ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।