জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা ব্যক্তি হত্যাকারী নন

চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে ওঠার পর আনুমানিক ২৫-৩০ বছর বয়সী অজ্ঞাত নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় শুক্রবার হালিশহর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় হালিশহর থানা আওতাধীন আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে উড আবাসিক হোটেলের ৮০২ নম্বর কক্ষ থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৮টায় ওই নারীকে নিয়ে কামরুল হাসান পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি হোটেল ভাড়া নেন। হোটেলে দেখানো জাতীয় পরিচয়পত্রে ওই ব্যক্তির ঠিকানা কুমিল্লা জেলায় ছিল। বিকেল সাড়ে ৫টায় ওই ব্যক্তি হোটেল থেকে বের হয়ে আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের দিকে চলে যায়। রাত ১১টা ১০ মিনিটে রুম থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পরে হোটেল কর্তৃপক্ষ বিকল্প চাবি ব্যবহার করে রুমটি খুলে এক নারীর লাশ দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দেয়। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। পুলিশ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর বলেন, ওই নারীর গলা ও পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

পুলিশের এ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর বলেন, এখনো ওই নারীর পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া হত্যাকারীকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে। জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানার সূত্র ধরে পরে এটা আমরা নিশ্চিত হই। জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা ব্যক্তি হত্যাকারী নন। হত্যাকারী কামরুল হাসান নামে এক ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে হোটেলের একটি কক্ষ ভাড়া নিয়েছিলেন। রুম ভাড়া নেওয়ার সময় অজ্ঞাতনামা ওই ব্যক্তি মাস্ক পড়ে ছিলেন। হোটেল রিসিপশনের দায়িত্বরত জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবির সঙ্গে ওই ব্যক্তির ছবি ভালোভাবে যাচাই বাছাই না করে রুম ভাড়া দিয়েছিলেন। 

Exit mobile version