মেয়র হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডা. সেলিনা হায়াত আইভী
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। আজ বুধবার সকাল ১০টায় গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাকে শপথ পড়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব নিলেন আইভী।মেয়রের শপথ নেওয়ার পর নবনির্বাচিত কাউন্সিলদের শপথবাক্য পাঠ করান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
শপথ নেওয়ার জন্য সকালেই ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে নির্বাচিত সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও ৩৬ জন কাউন্সিলর উপস্থিত হন। পরে গণভবন ও ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ শপথ অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি নাসিকের ২৭টি ওয়ার্ডের ১৯২টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে এবার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। এ নির্বাচনে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে প্রায় ৬৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে তৃতীয়বারের মতো সিটি মেয়র নির্বাচিত হন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।এছাড়া ২৭টি ওয়ার্ডে ২৭ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৯ জন নির্বাচিত হন। ২৭ জানুয়ারি এ নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মেয়র পদে ৬৬ হাজার ৮৩৫ ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারকে হারিয়ে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী।নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোশেনের ১৯২টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে আইভী পেয়েছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৩৯৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার পেয়েছেন ৯২ হাজার ৫৬২ ভোট। তাতে দেখা যায়, ৬৬ হাজার ৮৩৫ এগিয়ে রয়েছেন আইভী।
মেয়র পদে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা ছিলেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসিম উদ্দিন (বটগাছ) ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।