ইউক্রেনে যুদ্ধাবস্থা, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার জোর তৎপরতা

রাশিয়ার হামলা ঠেকাতে ইউক্রেনকে সহযোগিতা করার জন্য মার্কিন সেনা পোল্যান্ডে পৌঁছেছে। বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, গতকাল রোববার পোল্যান্ডে মার্কিন সেনাদের একটি উড়োজাহাজ অবরতণ করেছে।পূর্ব ইউরোপে সামরিক উপস্থিতি বাড়াতে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

জোসজোও-জেসিওঙ্কা বিমানবন্দরের একটি সূত্র বলেছে, আজ সোমবার মার্কিন সেনাবহনকারী আরও দুটি উড়োজাহাজ পোল্যান্ডে যাওয়ার কথা। এ ছাড়া আজ দিনের শেষে আরও কয়েকটি সেনাবহনকারী উড়োজাহাজ দেশটিতে যাওয়ার কথা।

ইউক্রেন ইস্যুতে সামরিক তৎপরতার পাশাপাশি কূটনৈতিক তৎপরতাও বাড়াচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। আজ ফ্রান্সের সময় বিকেল ৪টা নাগাদ মাখোঁর সঙ্গে পুতিনের বৈঠক হওয়ার কথা। এ বৈঠকের আগে দুই পক্ষই ভিন্ন ভিন্ন কথা বলেছে। মাখোঁ বলেছেন, তিনি মনে করেন, ইউক্রেনে হামলা এড়ানো সম্ভব। এ ছাড়া নিরাপত্তা ইস্যুতে রাশিয়া যেসব দাবি জানিয়েছে, তা যৌক্তিক।

পূর্ব ইউরোপে সেনা উপস্থিতি বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যে নির্দেশ দিয়েছেন, তার অংশ হিসেবেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বাইডনের নির্দেশনা অনুসারে, ইউরোপের এই এলাকায় তিন হাজার সেনা মোতায়েন করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ৮২ এয়ারবোর্ন ডিভিশনের ১ হাজার ৭০০ সেনা দেশটির নর্থ ক্যারোলাইনার ফোর্ট ব্র্যাগ থেকে পোল্যান্ডে যাচ্ছে। আর জার্মানিতে অবস্থানরত এক হাজার মার্কিন সেনা যাচ্ছে রোমানিয়ায়। এই সেনা মোতায়েনের অংশ হিসেবে মার্কিন বাহিনীর মেজর জেনারেল ক্রিস্টোফার ডোনাহু পোল্যান্ডে গেছেন।

আলোচনার আগে আজ ইউক্রেন ইস্যুতে কথা বলেন মাখোঁ। রাশিয়ার চাওয়া পুরণ ও ইউরোপের দেশগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চত করার ক্ষেত্রে নতুন একটি সাম্যাবস্থা আনার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।তবে মস্কোর পক্ষ থেকে ভিন্ন কথা বলা হচ্ছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেছেন, পরিস্থিতি যে জটিল আকার ধারণ করেছে, তাতে একটি বৈঠকে বড় কোনো সমাধানে আসা কঠিন। তবে এই বৈঠককে গুরুত্বও দিচ্ছেন তিনি।

মাখোঁর পাশাপাশি কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়িয়েছে জার্মানিও। দেশটির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন। সেখানে তিনি বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ প্রসঙ্গে ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘রাশিয়াকে আমরা একটি পরিষ্কার বার্তা দিতে চাইছি, তারা ইউক্রেনে হামলা চালালে চড়া মূল্য দিতে হবে।

আর এ জন্য আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি।’ইউক্রেন সংকট সমাধানে ‘টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদি’ আলোচনা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন পেসকভ। তিনি বলেন, ইউরোপে বিরাজমান উত্তেজনা কমাতে মাখোঁ নতুন কিছু ভাবনা নিয় মস্কোয় আসছেন। এ কথা পুতিনকে বলেছেন মাখোঁ।

Exit mobile version