৬৯ কোটি টাকার সরকারি ভবনের গ্লাস মৃদু বাতাসেই ভেঙ্গে পড়ল

মাদারীপুরে ৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত অত্যাধুনিক দশতলা সরকারি সমন্বিত অফিস ভবন চালু হওয়ার দুই মাস না পেরোতেই মৃদ্যু বাতাসেই একটি ইউনিটের জানালার গ্লাস ভেঙে পড়েছে। গতকাল সকালে জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন ভবনটি পরিদর্শনে যান।

জানা যায়, মাদারীপুর শহরের শকুনী মৌজার ওপর ১ একর জায়গা নিয়ে জেলার সাড়ে ১৩ লাখ মানুষের জন্য ৬৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় অত্যাধুনিক সরকারি সমন্বিত অফিস ভবন। ২০১৬ সালে ভবনটির নির্মাণকাজ শুরু করে গণপূর্ত বিভাগ। গত ৩রা আগস্ট ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জেলাভিত্তিক প্রথম সরকারি সমন্বিত অফিসটির উদ্বোধন করেন। কিছু কাজ অসমাপ্ত থাকায় নভেম্বরে এর নির্মাণকাজ শেষ দেখায় গণপূর্ত বিভাগ।

শুক্রবার রাতে সামান্য বাতাসে ১০ তলা ভবনের ষষ্ঠতলার পূর্বপাশের ব্লকের তিনটি রুমের জানালার গ্লাস ভেঙে পড়ে। এ সময় এই কক্ষগুলোতে থাকা মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের মাদারীপুর জেলা শাখার কার্যালয়ের কক্ষের কম্পিউটার, ফটোকপির মেশিনসহ বেশ কিছু ইলেকট্রনিক্স মালামালের ক্ষতি হয়।

ভবনটিতে চলবে ৪০টি সরকারি অফিসের কার্যক্রম। ১০ তলা ভবনটিতে রয়েছে ৪টি লিফট, মাল্টিপারপাস হলরুম, একসঙ্গে ৫৫টি গাড়ি পার্কিংয়ের আলাদা স্থান, আলাদা বিদ্যুৎ সংযোগ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য যাতায়াতের আলাদা ব্যবস্থাসহ আধুনিক সব সুবিধা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভবনে থাকা একটি দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, সামান্য বাতাসেই জানালা ভেঙে গেছে। সামনে আরও বেশি ঝড় হলে আমাদের জন্য খুব বিপজ্জনক।এছাড়া জানালার গ্রিলগুলোও হালকা।

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, সরকারি সমন্বিত দশতলা ভবনের কিছু গ্লাস ঝড়ের কারণে ভেঙে গিয়েছে। এটা সরেজমিন দেখেছি এবং এ ব্যাপারে একটা তদন্ত কমিটি গঠন করব। এমন ঘটনা যেন সামনে না ঘটে সে ব্যাপারেও আমরা পদক্ষেপ নিবো।

হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্র্যাস্টের মাদারীপুর জেলা সহকারী পরিচালক মুহিত উদ্দিন মোল্লা বলেন, গত ২ দিন আগে দমকা হাওয়া প্রবাহিত হয়েছিল। সেখানে সমন্বিত সরকারি ভবনের ষষ্ঠতলার পূর্বপাশের ব্লকের ৬০৭ থেকে ৬০৯ রুম হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের অফিস কক্ষের পূর্ব পাশের জানালাগুলো সব ভেঙে যায়।

ভাঙা অংশের কিছু কিছু অংশ অফিস কক্ষে প্রবেশ করে এবং জানালার পাশে থাকা কম্পিউটার, ফটোকপি মেশিনসহ আরও সরঞ্জামাদি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনো পুরোপুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিনি। তবে আপাতত আমাদের ফটোকপির মেশিনটি চালু হচ্ছে না।

Back to top button