অপরাধনাটোর

ধারাল ব্লেড দিয়ে দুই গৃহবধূর হাত ও চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ

নাটোরের গুরুদাসপুরে ধারাল ব্লেড দিয়ে দুই গৃহবধূর হাত ও চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক স্বামীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে এই ঘটনা ঘটে উপজেলা পৌর সদরের খামারনাচকৈড় মহল্লায়। আহত দুই গৃহবধূ বর্তমানে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

পারিবারিক কলহে সুমির স্বামী সবুজ আলী নাটোর কোর্টে গিয়ে গত ১৬ জানুয়ারি তার স্ত্রীকে তালাক দেন। সুখি ও সুমি দুজনেই অভিযোগ করে আরও বলেন, ডিভোর্স পেপারে স্বাক্ষর করতে এবং আগের মামলা তুলে নেওয়ার জন্য শুক্রবার রাতে জোড়পূবর্ক স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করেন সবুজ ও আলমগীর।

স্বাক্ষর না দিতে চাওয়ায় তার ছোট বোনকে মারধর করতে থাকেন সবুজ। মারধর করতে নিষেধ করলে সবুজ, আলমগীর ও তার সতিন আলমগীরের স্ত্রী রোজিনাসহ সকলে মিলে সুখির দুই হাত ব্লেড দিয়ে কেটে দেন। একই সময়ে সুমির চুলও কেটে চুল পুড়িয়েও দেন তারা। সুখি ও তার বোন সুমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ চান।

আহত গৃহবধূ সুখি খাতুন জানান, তার বাড়ি পৌর সদরের খামারনাচকৈড় মহল্লায়। তারা দুই বোন। ছোট বোনের নাম সুমি খাতুন। ওই মহল্লার হযরত আলী মোল্লার মেয়ে তারা। ছোট বোন সুমির বিয়ে হয়েছিল চাঁচকৈড় পুড়ানপাড়া মহল্লার সবুজ আলীর সঙ্গে। সুখিরও বিয়ে হয়েছিল পুড়ানপাড়া মহল্লার আলমগীর হোসেনের সঙ্গে। তবে সুখির স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করায় সংসারে অশান্তির সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সুখি ও আলমগীরের বিচ্ছেদ হয়ে যায় বলে জানান সুখির স্বামী আলমগীর।

এ দিকে অভিযোগ অস্বীকার করে সবুজ ও আলমগীর হোসেন জানান, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তাছাড়া তাদের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। বিচ্ছেদের পর আর কোনো সম্পর্ক নেই তাদের সঙ্গে।গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মতিন জানান, এ সংক্রান্ত বিষয়ে জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

Back to top button