বরেণ্য সাংবাদিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলামিস্ট পীর হাবিবুর রহমান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বাংলাদেশ প্রতিদিনের স্টাফ রিপোর্টার আরাফাত মুন্না হাসপাতাল থেকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
রাজনৈতিক প্রতিবেদন লিখে সাংবাদিকতায় তিনি ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছিলেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন। কাজ করেছেন বাংলাবাজার পত্রিকা, যুগান্তর, আমাদের সময়, আমাদের অর্থনীতিসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। তার লেখা অব দ্যা রেকর্ড, এক্সক্লুসিভ, টক অব দ্যা প্রেস, ভিউজ আনকাট, মন্দিরা গ্রন্থগুলোও ছিল আলোচিত।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পীর হাবিবুর রহমান স্ট্রোক করলে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। গত বছরের অক্টোবরে মুম্বাই জাসলুক হাসপাতালে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশনের মাধ্যমে ক্যানসার মুক্ত হন পীর হাবিবুর রহমান। কিন্তু গত ২২শে জানুয়ারি তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। পরে করোনামুক্ত হলেও কিডনি জটিলতার কারণে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ট্রোক করেন।
১৯৬৩ সালের ১২ নভেম্বর সুনামগঞ্জ শহরের হাসননগরে এক মধ্যবিত্ত সভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন পীর হাবিব। ১৯৮৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পড়াকালে সাংবাদিকতা শুরু করেন তিনি।১৯৯১ সাল থেকে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমানের মৃতদেহ শনিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) তার উত্তরার বাসায় নেওয়া হবে। বাদ এশা উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের পার্ক মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।রোববার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার মরদেহ রাখা হবে। বাদ জোহর জাতীয় প্রেসক্লাবে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নেওয়া হবে সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমানের মৃতদেহ। বেলা তিনটায় মৃতদেহ তার প্রিয় কর্মস্থল বাংলাদেশ প্রতিদিন কার্যালয়ে নেওয়া হবে।সোমবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জ পৌর শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে তার মৃতদেহ। বাদ জোহর সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় মসজিদে এবং নিজ গ্রাম মাইজবাড়ীতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে পিতা-মাতার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন পীর হাবিবুর রহমান।