চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আলোচিত ব্যবসায়ী জানে আলম হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জসিম উদ্দিন। অভিযুক্ত হওয়ার পর ২০ বছর ধরে ছদ্মাবেশে চলাফেরা করছিলেন পঞ্চাশ বছর বয়সী জসিম। পরিবর্তন করেছেন জাতীয় পরিচয়পত্র, করেছেন বিয়েও। কাজ করতেন ট্রাকচালক হিসেবে। কিন্তু এতকিছুর পরও শেষ রক্ষা হলো না তার। অবশেষে ধরা পড়লেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে।
র্যাব জানায়, ২০০২ সালে সংঘটিত হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই এলাকা ছাড়েন জসিম। ছদ্মবেশে পালিয়ে বেড়াতে থাকেন বিভিন্ন স্থানে। ডবলমুড়িং থানাধীন ফকিরহাট এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। এ সময় ট্রাকচালক হিসেবে পরিচয় দিতেন নিজেকে। এরপর কালুরঘাট এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বোয়ালখালীতে বিয়ে করেন এবং লোহাগাড়ায় নিজের পৈত্রিক ভিটা-বাড়ি ফেলে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করেন।
এরপর কালুরঘাট এলাকায় গাড়িচালক পেশায় তিন বছরের মতো অবস্থান করেন। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মহানগরীর আগ্রাবাদ ডেবারপাড় বাসা নিয়ে গাড়িচালক পেশায় চার বছর বসবাস করেন। এরপর আবার ফকিরহাটে বাসা ভাড়া নিয়ে সাত বছর থাকেন। সেখান থেকে বাসা পরিবর্তন করে বন্দর থানাধীন নিমতলায় বাসা ভাড়া নেন। মূলত ২০ বছর ধরে তিনি ট্রাকচালকের পেশায় থেকে নিজেকে আত্মগোপন করে রেখেছিলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানার নিমতল এলাকা থেকে র্যাব সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করেন। আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার। র্যাবের গোয়েন্দা ইউনিট গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান চালায়। তাকে লোহাগাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।র্যাব আরও জানায়, ট্রাকচালকের লাইসেন্স ও অন্যান্য কাগজপত্র তৈরিতে তিনি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করেন এবং নিজের আত্মীয়স্বজন থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিলেন।