ফেসবুক লাইভে এসে পিস্তল দিয়ে মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন নায়ক রিয়াজের শ্বশুর আবু মহসিন খাঁন। আজ বুধবার রাতে ধানমণ্ডিতে নিজের বাসায় তিনি এই ঘটনা ঘটান।ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ধানমন্ডি ৭ নম্বর রোডের ২৫ নম্বর বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন আবু মহসিন খাঁন। রাত পৌনে ১০টার দিকে নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
খবর পেয়ে পুলিশের রমনা বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গেছেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে লাশ ওই ফ্ল্যাটের ছিল বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। আবু মহসিন খাঁন কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলতে পারেননি তারা।
ঘটনাস্থল থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ধানমণ্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম আলী মিয়া।তিনি বলেন, আবু মহসিন চিত্রনায়ক রিয়াজের শ্বশুর। তিনি নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
আত্মহত্যার আগে ফেসবুক লাইভে এসে সাম্প্রতিককালে নিকট আত্মীয়দের মৃত্যুর ঘটনার কথা উল্লেখ করে মহসিন বলেন, আমি ক্যান্সারে আক্রান্ত। আমার ব্যবসা এখন বন্ধ। আমি বাসায় একাই থাকি। আমার এক ছেলে থাকে অস্ট্রেলিয়ায়। আমার ভয় করে যে আমি বাসায় মরে পড়ে থাকলে, লাশ পঁচে গেলেও কেউ হয়তো খবর পাবে না।
মহসিন আরও বলেন, পিতা-মাতা যা উপার্জন করে তার সিংহভাগ সন্তানদের পেছনে খরচ করে। প্রকৃত বাবারা না খেয়েও সন্তানদের খাওয়ানোর চেষ্টা করে, ফ্যামেলিকে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ফ্যামেলি অনেক সময় বুঝতে চায় না। নিজেকে আর মানিয়ে নিতে পারলাম না। যারা দেখছেন, তাদের সঙ্গে এটাই শেষ দেখা। সবাই ভালো থাকবেন।
এরপর কালেমা পড়তে পড়তে নিজের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করেন তিনি। তার আগে পিস্তলের লাইসেন্স দেখান। বলেন, আমি যেটা দিয়ে আত্মহত্যা করছি সেটি ইলিগ্যাল কিছু না। এটির লাইসেন্স আছে। সেটি নবায়নও করা হয়েছে। আমি চলে যাবো। আত্মীয় স্বজন যারা আছো, যেহেতু বাবাও আমাকে জায়গাটা দেয়নি, আমি যে কবরস্থানটা করেছি সেখানে আমাকে দাফন করো না। মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধে একটি কবরস্থান হয়েছে, সেখানে তোমরা আমাকে দাফন করে দিও। প্রত্যেকটা লোক আমার সাথে প্রতারণা করেছে। আমার বাবা, মা, ভাইরা, প্রত্যেকটা লোক, এভরিওয়ান।