কর্পূরের মতো উবে যাওয়া বোধহয় একেই বলে! কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি, পলিটিক্যাল সানিউল কাদেরের সঙ্গে আপত্তিকর সেক্স ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর উধাও হয়ে গেছেন আলিশা মেহমুদ নামের ওই আকর্ষণীয় তরুণী। এমনকি যে সেক্স ভিডিও বাংলাদেশ মিশনের পদস্থ কর্তাদের কাছে পৌঁছেছিল তার আর কোনো অস্তিত্ব মিলছে না।
সমান্তরাল তদন্তে আলিশা মেহমুদের হদিস সোমবারও মেলেনি। এই সোসাইটি লেডি যেন হারিয়ে গেছেন। মুষ্টিমেয় যারা এই সেক্স ভিডিও চ্যাট দেখেছেন তারা জানিয়েছেন যে, কলকাতার ককটেল সার্কিটে এই লাস্যময়ী তরুণী নতুন। সানিউল কাদেরের সঙ্গে এই মহিলাকে বেশ কয়েকটি অভিজাত ক্লাবেও দেখা গেছে।
সোমবার কলকাতার শেখ মুজিব সরণিতে বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের কর্তারা এই ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। এদিন বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি, প্রেস রঞ্জন সেনকে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আলোচিত মহিলা ভারতীয় কি-না কে তার প্রমাণ দিলো?
দ্বিতীয়ত, এই তরুণী কি একদম উড়ে গেলেন? কোথায় তার সন্ধান? তৃতীয়ত, তাদের সেক্স ভিডিও চ্যাট এর ক্লিপিং কোথায় গেল? কলকাতার প্রাক্তন সাংবাদিক রঞ্জন বাবুর ধারণা, বাংলাদেশের গোয়েন্দারা পুরো বিষয়টি তদন্ত করছেন। এই বিষয়গুলো নিশ্চয়ই তদন্তের বিষয়বস্তু হবে।
কিন্তু তরুণীর নাম আলিশা মেহমুদই কি-না তাই নিয়ে সংশয় আছে। ক্লাবগুলোতে আলিশা মেহমুদকে মদিরার গ্লাস হাতে এবং সিগারেটে টান দিতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী। কিন্তু তারপর? কোথায় গেলেন বছর বত্রিশের এই তরুণী? গল্প শুরু বোধহয় এখান থেকেই।