বিশ্বে প্রথম ইলেকট্রিক উড়োজাহাজ উড়তে যাচ্ছে

উড়ানের নতুন এক অভিজ্ঞতা পেতে যাচ্ছে বিশ্ব। যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে ইলেকট্রিক উড়োজাহাজ। সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, এর ইঞ্জিনের পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে গত সপ্তাহে।অ্যালিস নামের এই উড়োজাহাজ তৈরি করেছে ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠান এভিয়েশন। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের সিয়াটলের উত্তরের আর্লিংটন মিউনিসিপ্যাল বিমানবন্দরে ইঞ্জিনের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এ প্রসঙ্গে এভিয়েশনের প্রধান নির্বাহী ওমর বার-ইওহায় বলেছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এটি উড়বে।

নতুন এই উড়োজাহাজের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪৬২ কিলোমিটার। এটি এক ঘণ্টা উড়তে সক্ষম। এই ১ ঘণ্টায় উড়োজাহাজটি ৪৪০ নটিক্যাল মাইল উড়তে পারবে। অ্যালিসের গতিবেগ ঠিক কত, তা বোঝার জন্য একটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। অন্যতম আধুনিক উড়োজাহাজ বোয়িং ৭৩৭-এর গতিবেগ ঘণ্টায় ৯৬৪ কিলোমিটার।আগামী ৭ থেকে ১০ বছরের মধ্যে এই যাত্রী ধারণক্ষমতা ৪০-এ উন্নীত করতে চায় ইলেকট্রিক উড়োজাহাজ নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করা প্রতিষ্ঠান এভিয়েশন।

অ্যালিসের প্রযুক্তি বেশ পরিচিত। ইলেকট্রিক গাড়ি ও মুঠোফোনের ব্যাটারির ক্ষেত্রে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, সেই প্রযুক্তি এতে ব্যবহার করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, এতে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার করা হচ্ছে অ্যালিসে। তবে এর চার্জিং ব্যবস্থা বেশ শক্তিশালী। ৩০ মিনিটে চার্জ সম্পন্ন হয়।

এই প্রাথমিক উড়োজাহাজের পর তিন ধরনের উড়োজাহাজ তৈরি করেছে এভিয়েশন। এর একটি হলো কমিউটার, অপরটি এক্সিকিউটিভ। আরেকটি হলো পণ্য পরিবহনের জন্য বিশেষায়িত কার্গো। কমুটার ধরনটি ৯ জন যাত্রী ও ২ জন পাইলট নিয়ে উড়বে। কার্গোটি ৩৮৬ কেজি পণ্য নিয়ে উড়বে। আর এক্সিকিউটিভ যাত্রী থাকবে ছয়জন। এটি বিশেষায়িত। চলমান বাণিজ্যিক উড়োজাহাজের চেয়ে এর খরচ কম হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এর আগে অ্যালিসের একটি প্রাথমিক মডেল দাঁড় করানো হয় ২০১৯ সালে। এরপর গত ডিসেম্বর থেকে এর পরীক্ষা চালানো হয়। ওই সময় গতিবেগ ছিল কম। এবার উচ্চ গতিতে উড্ডয়ন করবে অ্যালিস। একই সঙ্গে বিভিন্ন গতিতে উড়িয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। যদিও ইসরায়েলের এই প্রতিষ্ঠানের প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল, ২০২২ সালের আগেই অ্যালিস উড্ডয়ন করবে। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে তা সম্ভব হয়নি।

Exit mobile version