চট্টগ্রাম নগরীতে ঠাট্টা ও উপহাস থেকে বাবুর্চির ছুরিকাঘাতে এস এম মঈনউদ্দিন তন্ময় (৩০) নামে এক কর্মকর্তা খুন হয়েছেন। এই ঘটনায় ওই বাবুর্চিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার দুপুরের পর খুলশী থানাধীন লালখান বাজার চাঁনমারি সড়কের একটি মেসে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। ‘হাইপেরিয়ন’ নামে একটি ভবনের তৃতীয় তলায় একটি মেসে এক সঙ্গে থাকতেন তাঁরা।
পুলিশ জানায়, সোমবার দুপুরে তন্ময়সহ তিন কর্মকর্তা ভাত খাওয়ার জন্য ওই মেসে আসেন নিহার। দুজন ভাত খেয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর পরিকল্পনা অনুযায়ী নিহার রান্নাঘর থেকে ছোরা এনে তন্ময়ের বুকের বাম পাশে ও পেটে আঘাত করেন। পরে ওই বাসায় চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে ভবনের লোকজন সেখানে জড়ো হন। সেখানে তন্ময়কে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপর তাঁকে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। লোকজন বাসায় ঢুকে দেখেন, নিহার দাঁড়িয়ে আছে, তার হাতে একটি ছোরার বাঁট। পরে পুলিশ গিয়ে রক্তমাখা ছোরার বাঁটটি জব্দসহ তন্ময়কে আটক করেন।
এ ঘটনায় নিহত এস এম মঈনউদ্দিন তন্ময়ের (৩০) বাড়ি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায়। তিনি ‘তিলোত্তমা টাইলস’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের চট্টগ্রামের কার্যালয়ের হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা ছিলেন। খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত নিহার রিচিলের (৫১) বাড়ি শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলায়। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এই ব্যক্তি ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য মেসটিতে বাবুর্চির কাজ করতেন।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, উভয়েই প্রতিষ্ঠানটির একটি মেসে থাকতেন। মেসে থাকতে কদিন ধরে দুজনের মধ্যে মানসিক দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।ওসি বলেন, বছর খানিক আগে নিহারের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর বিচ্ছেদ হয়। সেই ঘটনা নিয়ে নিহারকে বিভিন্ন সময় বিদ্রূপ করতেন তন্ময়।সম্প্রতি বান্দরবানের এক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নারীর সঙ্গে নিহারের সম্পর্ক হয়। সেটা নিয়েও তন্ময় তাঁকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন। তাঁকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য নিহার খুনের পরিকল্পনা করে। এই ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।