নির্বাচনের দিন চুমু খেতে চেয়েছিলেন দুই গালে
২৮ জানুয়ারি শুক্রবার ছিল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। সেদিন সকাল থেকেই এফডিসিতে উপস্থিত ছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণ পরিষদের প্রার্থীরা। নিপুণের দাবি, সকালে ভোটের মাঠে তাঁর দুই নারী প্রার্থীর সামনে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মুখোমুখি হন। এই সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুন তাঁর কাছে চুমুর আবদার করেন।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বীবার্ষিক নির্বাচনের সাধারণ সম্পাদকের ফলাফল নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন চিত্র নায়িকা নিপুণ। তিনি বলেছেন নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে এবং এই কারচুপির সঙ্গে জায়েদ খান, এফডিসির এমডি এবং পীরজাদা হারুন জড়িত।
নিপুণ বলেন, ‘আমাদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার হারুনের ব্যাপারে একটা কথা বলতেই হয়। সেই ঘটনার সময় আমাদের দুজন নারী প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন। আমি অনেক সকালবেলায় উপস্থিত হয়েছিলাম। তখন তিনি আমাকে বলছিলেন, আমার কাছ থেকে দুই গালে দুইটা কিস চাচ্ছিলেন। তাঁর ওই গালের মধ্যে দুইটা চড় লাগানো উচিত ছিল।’ সংবাদ সম্মেলনে এই চিত্রনায়িকার এমন কথায় সবাই একটু নড়েচড়ে বসেন। মুহূর্তেই নীরবতা। অবাক হয়ে সবার নজর ছিল নিপুণের দিকে।কিন্তু তখন নির্বাচন প্রার্থী থেকে বয়কট হয়ে যাবেন এবং আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে বলে বিষয়টি তিনি চেপে গিয়েছিলেন।
এসময় তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনের দিন তাদের প্রার্থীসহ জায়েদ খানের অনেক লোক ভিতরে প্রবেশ করতে পারলো। কিন্তু জায়েদ খানের পক্ষে খাবারের প্যাকেট ঢুকলেও তাদের প্যানেলের জন্য কোন ধরনের খাবার ঢুকতে পারেনি এফডিসিতে এবং তাদের অনেকেই এফডিসির বাইরে অবস্থান করেছে, ভিতরে ভোট দিতে আসে নি শুধু মাত্র জায়েদ খানের কারণে। জায়েদ খান প্রশাসনকে নিজের মত করে চালিয়েছেন।
নির্বাচনী ফলাফলে অসন্তোষ প্রকাশ করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে আপিল করেছেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণ। আপিল করার বিষয়টি নিশ্চিত করে নিপুণ জানান, যে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে কারচুপির আশঙ্কা করছেন তিনি। ভোটের হিসাবেও গরমিল পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন। পরে আজ তিনি সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বাতিল চান।