বিয়ের জন্য প্রেমিকার মাকে রাজি করাতে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলেন অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র জুনেদ রহমান। তাকে দেখেই তার কাছে মেয়ের মা জানতে চান, ‘আমার মেয়েকে কতটা ভালোবাসো?’; জুনেদের কাছে ভালোবাসার প্রমাণও চান তিনি। ভালোবাসার প্রমাণ দিতে গিয়ে ‘প্রেমিকার মায়ের কথায়’ কীটনাশক পান করেন জুনেদ, পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় এ ঘটনা ঘটেছে।
জুনেদের বন্ধু পায়েল ও সাজু জানান, জুনেদের সঙ্গে তারাও সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু জুনেদ তাদের বাড়ির বাইরে রেখে একাই ভেতরে যান। এক পর্যায়ে বাইরে এসে বন্ধুদের কাছে প্রেমিকার মায়ের কথায় কীটনাশক পানের কথা জানান জুনেদ। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়, সেখান থেকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল এবং পরে সিলেটের আল-রায়হান হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে জুনেদের মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শহরের সুরভীপাড়া এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে জুনেদ রহমানের সঙ্গে উপজেলার মোহাজেরাবাদ গ্রামের হামিদ উল্লার কলেজ পড়ুয়া মেয়ের চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে জুনেদের বাড়ি থেকে বিয়ের কথাবার্তা চলছিল, মেয়েটি তা জানার পর জুনেদকে জানায় তার সঙ্গে বিয়ে না হলে আত্মহত্যা করবে। এরপর জুনেদ তার প্রেমিকার মাকে বিয়েতে সম্মতি দিতে রাজি করানোর জন্য শুক্রবার তাদের বাড়িতে যান।
এ বিষয়ে আজ বিকেলে জুনেদের প্রেমিকা সাংবাদিকদের জানায়, ঘটনার দিন বিকেলে জুনেদ তাদের বাড়িতে গিয়ে দীর্ঘ সময় তার মায়ের পা ধরে কান্নাকাটি করে। তখন তার মা জুনেদকে জানান পরিবার থেকে যেখানে বিয়ে ঠিক করেছে সেখানেই বিয়ে করতে। তার মা রাজি না হওয়ায় জুনেদ চলে যান। বিষপানে আত্মহত্যার খবরটি তারা আজ জেনেছে।
মেয়েটির মা সেলিনা বেগম বলেন, ‘জুনেদ আমাদের বাড়ি আসার সময় বাড়িতে কোনো পুরুষ মানুষ ছিলেন না। এ ঘটনায় আমরা থানায় একটি জিডিও করি।’তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন শ্রীমঙ্গল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ন কবির।