জুয়াড়ির প্রস্তাব পেয়ে গোপন করায় ২০১৯ সালে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। একই কারণে এবার শাস্তি পেলেন জিম্বাবুয়ের উইকেটরক্ষক ব্যাটার ব্রেন্ডন টেইলর। প্রস্তাব গোপন করার ঘটনায় সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। চারটি নিয়ম ভাঙার অভিযোগে আইসিসি সাড়ে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জিম্বাবুইয়ান ক্রিকেটারকে।তথ্য গোপনের পাশাপাশি এন্টি ডোপিং ধারাতেও শাস্তি পেয়েছেন টে্ইলর।
সম্প্রতি জুয়াড়িদের তথ্য গোপনের কথা নিজেই স্বীকার করেছিলেন টেইলর। এক টুইট বার্তায় টেইলর দাবি করেছিলেন মানসিক চাপের কারণে জুয়াড়িদের কথা চেপে গিয়েছিলেন তিনি।একই সঙ্গে দাবি করেন জুয়াড়িদের প্ররোচণাতেই কোকেন সেবন করেছিলেন সাবেক এই অধিনায়ক। যাতে তিনি পরে ব্যাপকমাত্রায় আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন।
স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও গোপন করেছিলেন জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক। বিষয়টা যখন দিন চারেক আগে জানালেন নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, তখনই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল, বড় নিষেধাজ্ঞাই নেমে আসছে তার ওপর। আইসিসির আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে পরিষ্কার হলো বিষয়টা। শুক্রবার এক বিবৃতিতে আইসিসি জানায়, সংস্থাটির দুর্নীতি বিরোধী নীতিমালার চারটি ধারা ভাঙার অভিযোগ আনা হয়েছে তার ওপর।
জুয়াড়িদের প্রস্তাব পেয়ে ম্যাচ না পাতালেও তথ্য গোপনের জন্য আইসিসির কোড অফ কন্ডাক্ট অনুযায়ী দোষী ছিলেন টেইলর। তবে দেরি করে হলেও বিষয়টি আইসিসিকে জানানোয় জিম্বাবুয়ের এ ক্রিকেটার আশা করেছিলেন ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা তার বিষয়ে নমনীয় হবে। কিন্তু সেটি হয়নি। সাড়ে তিন বছরের জন্য ক্রিকেট থেকে নির্বাসনে যেতে হচ্ছে তাকে।
এখানেই শেষ নয়, অভিযোগ আছে ডোপিং বিরোধী নীতিমালার একটি ধারা ভাঙারও। সবকিছুর মিশেলে তার ওপর নেমে আসে সাড়ে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা। এই সময়ে কোন ধরনের ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না সাবেক এই জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক।