পুরান ঢাকার আর এম দাস লেনে বাড়ির ছাদে ঘুড়ি ওড়ানোর সময় সালভি আল জিহাদ (১১) নামের এক শিশু পা ফসকে পড়ে মারা গেছে। সালভি পুরান ঢাকার একরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ বক্সের পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সালভিকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জিহাদের বাবা শাহ আলম পুরান ঢাকার একটি ঢালাই কারখানার মিস্ত্রি। সে ছিল মা-বাবার একমাত্র ছেলে সন্তান।
সালভির খালু মো. মাসুদ বলেন, সালভি জিহাদ ভবনটির অন্য শিশুদের সঙ্গে পাশের বাড়ির সাততলা ভবনের ছাদে খেলা করতে ওঠে। সে সময়ে একটি ঘুড়ি সুতা ছিঁড়ে উড়ে যাচ্ছিল। ওই ঘুড়ি ধরতে গিয়ে অসাবধানতাবশত পা ফসকে দুই ভবনের ফাঁকা জায়গা দিয়ে সালভি নিচে পড়ে যায়। খবর পেয়ে স্বজনেরা সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
সালভির মা জেসমিন আক্তার ছেলেকে হারিয়ে পাগলপ্রায়। তিনি বলেন, ‘বিকেলে প্রাইভেট শেষ করে জিহাদ বাসায় ফিরে আসে এবং বই রেখে বাইরে খেলতে বেরিয়ে যায়। পরে খবর পাই সাততলার ছাদ থেকে সে নিচে পড়ে গেছে।’ গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর হাজারীবাগে একটি বাড়ির তৃতীয় তলার সিঁড়িতে খেলার সময় সেখান থেকে পড়ে মো. রোমান নামের ১১ বছরের এক শিশু মারা যায়।