আগামীকাল বৃহস্পতিবারও রাজশাহী ও রংপুর ছাড়া সারা দেশে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিন দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
মাঘের শীতের এ সময়ে আজ বুধবার বিকেলে ঢাকা জেলায় ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলী (৪ মিলিমিটার) ও টাঙ্গাইলে (১ মিলিমিটার)। তবে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সিলেটের শ্রীমঙ্গলে—১১ মিলিমিটার। এর বাইরে রাজশাহীর ঈশ্বরদীতে হয়েছে ৫ মিলিমিটার।
আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ ওমর ফারুক জানিয়েছেন, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আকাশ কম মেঘলা থাকবে। তাই সেখানে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কম। যেসব জায়গায় বেশি মেঘ হবে, সেসব এলাকায় তাপমাত্রা কমার হার তুলনামূলক বেশি হতে পারে।বুধবার দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রংপুরের তেঁতুলিয়ায়—৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ চট্টগ্রামের টেকনাফে—২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যার পর দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। আজ ঢাকাসহ কিছু এলাকায় বৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে বলে আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া অধিদফতর। বৃষ্টির ফলে তাপমাত্রা রাতে বেশ কিছুটা কমে আসতে পারে। বাড়তে পারে শীতের প্রকোপ। আগামীকাল পর্যন্ত এই আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। এ হিসেবে তাপমাত্রা কমেছে ১ ডিগ্রি। এছাড়া বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ দশমিক ২, ময়মনসিংহে ১৫ দশমিক ৪, চট্টগ্রামে ১৭.৪, সিলেটে ১৫ দশমিক ৩, রাজশাহীতে ১৫ দশমিক ২, রংপুরে ১৩ দশমিক ৫, খুলনায় ১৭ দশমিক ২ এবং বরিশালে ১৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার এবং আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।