ভাইরাল টিকটক ভিডিওতে বিশ্বপ্রেমিক ধরা
টিকটক ভিডিওর একটা প্রবণতা চারদিকে লক্ষ করা যাচ্ছে। উদ্ভট বিষয় ছাড়াও বিভিন্ন কারণে এসব ভিডিও ইন্টারনেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তেমনই একটি ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানকার নিউইয়র্ক সিটিতে করা এক টিকটক ভিডিও এখন আলোচিত।ভিডিওকারী ওই ব্যক্তির নাম ক্যালেব।
ক্যালেবকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হুলুস্থুলের শুরু গত মঙ্গলবার, মিমি সাউ নামের এক টিকটক ব্যবহারকারীর একটি ভিডিও থেকে। ওই ভিডিওতে তিনি ক্যালেব নামের এক প্রেমিকের প্রতারণার গল্প শোনান। দ্রুতই তাঁর এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে এবং অনেক নারী জানতে চান, এই লোকের নাম ওয়েস্ট এলম ক্যালেব কি না। তাঁদের ভাষ্য, এই নামের ব্যক্তিটি তাঁদের সঙ্গে প্রেম ও অভিসার করে (ডেটিং) সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন।
ছড়িয়ে পড়া (ভাইরাল) ওই ভিডিও বেশ কয়েকজন নারীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, যাঁরা প্রত্যেকেই এক ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমে মজেছেন, অভিসার করেছেন। বর্তমানে বিষয়টি একটি হ্যাশট্যাগের রূপ লাভ করেছে।এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ব্যক্তির নাম ক্যালেব। টিকটকে তিনি ‘ওয়েস্ট এলম ক্যালেব’ নামে পরিচিত। এ নামে একটি ফার্নিচার কোম্পানি রয়েছে, যেখানে ক্যালেব কাজ করেন।
ক্যাট গ্লাভান নামের এক নারী মিমির ওই ভিডিও বিভিন্নজনকে ট্যাগ করতে শুরু করেন। গ্লাভান বলেন, ‘টিকটকের এই ভিডিও ছাড়া আমি কখনোই জানতাম না যে আমি যে লোককে খুঁজছিলাম, তিনি ওয়েস্ট এলম ক্যালেব।’ ভিডিওতে গ্লাভান জানান, তাঁর সঙ্গে অভিসারের কয়েক ঘণ্টা আগে কেলি নামের আরেক নারীর সঙ্গে অভিসারে যান ক্যালেব।
কেলিও একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি বলেন, অভিসারের পর ছয় সপ্তাহ ধরে তাঁর সঙ্গে ক্যালেবের যোগাযোগ নেই। একের পর এক নারী কথা বলতে শুরু করলে দ্রুতই #ওয়েস্টএলমক্যালেব হ্যাশট্যাগ ছড়িয়ে পড়ে। গত বুধবারই! নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, #ওয়েস্টএলমক্যালেব ভিডিওটি ৫৪ লাখবারের বেশি দেখা হয়েছে।
অবশ্য মিমি যে ব্যক্তির কথা বলেছিলেন, তিনি ওয়েস্ট এলম নন। তবে বেশ কয়েকজন নারীর জিজ্ঞাসা মিমিকে ওয়েস্ট এলম ক্যালেবের বিষয়ে আগ্রহী করে তোলে। এরপর তিনি ডেটিং অ্যাপ হিঞ্জে ওই নামে এক প্রতারকের সন্ধান পান। একপর্যায়ে তিনি ওয়েস্ট এলম ক্যালেব নামের ওই টিকটক অ্যাকাউন্টধারীর বিষয়ে একটি সতর্কতামূলক ভিডিও পোস্ট করেন। যেখানে তিনি নারীদের এই নামের ব্যক্তির কাছ থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান।