অপরাধপটুয়াখালি

ধর্ষণে অভিযুক্ত যুবককে আটকের পর ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ

গয়নাঘাট গ্রামের জাহাঙ্গীর দেওয়ানের ছেলে আলামিন দেওয়ান আট মাস ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন। গত ১২ জানুয়ারি বিকালে কল করে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যান। পরদিন দুপুরে মা-বাবার কাছে তাঁকে ফেলে রেখে ছেলে আত্মগোপন করেন। মা-বাবা পুত্রবধূর স্বীকৃতি দিলে ওই বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। আলামিনের খোঁজ না পেয়ে ওই নারী তিন দিন পরে গত রবিবার দশমিনা থানায় অভিযোগ করেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গিয়ে সত্যতা পায়। রবিবার রাত ৪টার দিকে যুবক বাড়িতে এসে তরুণীকে মেরে হাত ভেঙে দেন। পরদিন সকালে ওই নারী আবার থানায় যান। তখন পুলিশ তাঁকে চিকিত্সার কথা বললে দশমিনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। পরে পুলিশ গত সোমবার আলামিনসহ স্বজনদের এবং তরুণীকে নিয়ে দশমিনা থানার সামনে গোলঘরে সালিসে বসে। বৈঠকের পর আলামিনকে থানা হাজতে আটকে রাখে। তরুণীর কাছ থেকে নতুন করে অভিযোগ নেয়। রাত গভীর হলে অভিযুক্তকে ছেড়ে দেয় এবং তরুণীর কাছ থেকে জোর করে একটি মুচলেকায় স্বাক্ষর নেয়।

যুবকের বাবা জাহাঙ্গীর দেওয়ান বলেন, ‘এই মেয়েটা কয়েক দিন হলো ছেলের সঙ্গে আমাদের বাড়িতে আসছে। তাঁর কাছে শুনতে পাই, আলামিন নাকি বিয়ে করার জন্য বলেছে। এ ছাড়া আমরা কিছুই জানি না।’থানার উপপরির্দশক (এসআই) মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) যেভাবে নির্দেশনা দিচ্ছেন, আমরা সেভাবে কাজ করছি।অভিযুক্ত যুবককে আটকের পর পটুয়াখালীর দশমিনা থানা থেকে গভীর রাতে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।’দশমিনা থানার ওসি মো. মেহেদি হাসান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।’

Back to top button