গাজীপুর শহরের কাশিমপুর এলাকায় এক পোশাককর্মীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।ঘটনার একদিন পর গতকাল সোমবার ভুক্তভোগী বাদী হয়ে জিএমপির কাশিমপুর থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে। আজ মঙ্গলবার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী মহানগরীর কাশিমপুরে মামা-মামির সঙ্গে একটি ভাড়া বাসায় থেকে নিশাইল এলাকার একটি তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। চাকরি সূত্রে একই কারখানার কর্মী আবু বক্কর সিদ্দিক রাহাতের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। গত রোববার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাঁকে নতুন বাসা খুঁজে দেওয়ার কথা বলে রাহাত স্থানীয় একটি টেক্সটাইল কারখানার পরিত্যক্ত কোয়ার্টারের কাছে নির্জন স্থানে নিয়ে যান। সেখানে আগে থেকে ওঁৎপেতে ছিলেন চারজন। তাদের মধ্যে মোবারক হোসেন নামে একজন তাঁকে ধর্ষণ করেন। এ সময় বাকিরা মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন।
আসামিরা হলেন, ভোলা জেলার দোলার হাট থানার চর যমুনা গ্রামের মো. দুলাল মিয়ার ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক রাহাত (২০), গাজীপুর মহানগরীর মাধবপুর এলাকার মো. কামাল উদ্দিন গায়েনেরে ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম মোবারক (২৯), একই এলাকার জহির উদ্দিনের ছেলে মো. সাগর মিয়া (২২), গাজীপুর মহানগরীর পানিশাইল এলাকার মো. মোস্তফা কামালের ছেলে মেহেদী হাসান (২১) এবং একই এলাকার মো. জয়নাল আবেদীনের ছেলে মেহেদী হাসান নাহিদ (২১)।
এজাহারে আরও বলা হয়, ধর্ষণের ভিডিও পরে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাঁরা ওই নারীর কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। ওই নারী তাঁর বাবাকে ফোন দিয়ে বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা এনে তাঁদের দেন। এ সময় আসামিরা ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে ভিডিওটি ইন্টারনেটে ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁকে ছেড়ে দেন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) মো. জাকির হাসান জানান, ঘটনার পরদিন গত সোমবার ওই নারী বাদী হয়ে কাশিমপুর থানায় মামলা করেন। বাদীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে।