শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছে।মঙ্গলবার রাত দশটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেন।
রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসসিটি ভবনের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নাম উল্লেখ না করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।অভিযোগ রয়েছে, তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করেছে। ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সেখানে উপস্থিত থাকলেও সংঘাত নিয়ন্ত্রণে কোনো ভূমিকা তারা নেননি।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাইমিনুল বাশার সংবাদ সম্মেলন শেষে বাংলা ম্যাগাজিনকে বলেন, ‘আমরা কালকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করব। এই সময়ের মধ্যে উপাচার্য স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে আমরা আমরণ অনশনে যাব।’ তিনি আরও বলেন, ‘উপাচার্যের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত অনশনে চালিয়ে যাব।’উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছে।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের অপসারণের দাবির সঙ্গে সংহতি জানাতে অস্বীকৃতি জানানোয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ফিরিয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতাদের।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে যান শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস এবং সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মস্তাবুর রহমান।
এসময় শিক্ষার্থীরা দাবি জানান, উপাচারে্যর পদত্যাগের দাবির সঙ্গে শিক্ষকরা যেন সংহতি জানান। কিন্তু শিক্ষক সমিতির নেতারা তা জানাতে অস্বীকৃতি জানান। তখন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাদের ফিরিয়ে দেন।ক্যাম্পাসে সংঘাত ও সংঘর্ষের ঘটনায় গত ১৬ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করে।
শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, ‘শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস এবং সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মস্তাবুর রহমান আমাদের কাছে এসে কথা বলতে চান। তখন আমাদের মাঝ থেকে শিক্ষার্থীরা উনাদের কাছে জানতে চান, আমাদের এক দফার আন্দোলন উনারা সহমত পোষণ করেন কি-না। সহমত পোষণ না করলে আমরা কথা বলতে রাজি না। আমরা এই কথা বেশ কয়েকবার উনাদের বললে, উনারা কোনো উত্তর দেননি। পরে উনারা এখান থেকে চলে যায়।’