অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমু হত্যার রহস্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ঘাটন করেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। লাশের বস্তার একটি সুতার যোগসূত্র ধরে হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়। এ ঘটনায় শিমুর স্বামী স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন বলে দাবি করেছেন ঢাকা পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন সরদার।শিমু হত্যায় তাঁর স্বামী ও তাঁর বাল্যবন্ধু গাড়িচালক এস এম ওয়াই আব্দুল্লাহ ফরহাদকে (৪৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, শিমুর লাশ যে বস্তায় রাখা হয়েছে সে বস্তা সেলাই করা সুতার মাধ্যমে সন্দেহের আওতায় আসেন তাঁর স্বামী নোবেল। একই রকমের সুতা নোবেলের গাড়িতে পাওয়া যায়। এ ছাড়া গাড়িটি ধুয়ে ব্লিচিং পাউডার ছিটানোর আলামতও মেলে। এরপর মেলে যোগসূত্র।
জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায় নোবেল স্বীকার করেন, রবিবার সকাল ৭টা-৮টার দিকে তিনি শিমুকে গলা টিপে হত্যা করেন। এরপর বন্ধু ফরহাদকে মোবাইল ফোনে কল করে ডেকে নেন। পরে ফরহাদ ও নোবেল পরিকল্পনা করে বাইরে থেকে বস্তা এনে শিমুর লাশ লম্বালম্বিভাবে দুটি পাটের বস্তায় ভরে প্লাস্টিকের সুতা দিয়ে সেলাই করেন।এরপর বাড়ির দারোয়ানকে নাশতা আনতে বাইরে পাঠিয়ে নিজের ব্যক্তিগত গাড়ির পেছনের আসনে শিমুর লাশ নিয়ে বেরিয়ে যান।
মঙ্গলবার দুপুরে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুকে পারিবারিক কলহের জেরে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন ঢাকা পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন সরদার। জিজ্ঞাসাবাদে স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল মডেল শিমুকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলেও জানান তিনি।এর আগে সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের আটক করা হয়। এর আগে ওই দিন সকালে কেরানীগঞ্জ আলীপুর ব্রিজের পাশ থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় শিমুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানান, প্রথমে নোবেল ও ফরহাদ মিরপুরের দিকে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে লাশ গুমের উপযুক্ত পরিবেশ না পেয়ে তাঁরা আবার বাসায় ফেরেন। রবিবার সন্ধ্যায় আবার লাশ গুম করতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, বছিলা ব্রিজ হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার হজরতপুর ইউনিয়নের কদমতলী এলাকার আলীপুর ব্রিজের কাছে সড়কের পাশে ঝোপের ভেতর লাশটি ফেলে চলে যান। তখন রাত সাড়ে ৯টা। শিমুর স্বামী ও তাঁর বন্ধু দুজনই মাদকাসক্ত ও বেকার ছিলেন।