ঢাকার কেরানীগঞ্জে রাস্তার পাশ থেকে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর লাশ উদ্ধার হয়েছে। মরদেহটি বস্তায় ভরে ফেলে রাখা হয়েছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।সোমবার দুপুরে কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় বস্তাবন্দী অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
সড়কের পাশে বস্তাবন্দী অবস্থায় অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর মরদেহের গলায় অস্বাভাবিক রকমের দাগ পাওয়া গিয়েছে। উদ্ধারের সময়ে তার গলা এই দাগ দেখতে পায় পুলিশ। এর আগে গত রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকালে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন শিমু। তারপর থেকেই তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল রোববার দিনগত রাতে কলাবাগান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী রমজানুল হক বলেন, মরদেহটি টুকরা করে দুটি বস্তায় ভরে ফেলে রাখা হয়। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে খণ্ডিত অংশগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের গলায় একটি দাগ রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন সরদার দুজনকে আটকের কথা নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানাবেন বলেও তিনি জানিয়েছেন।
এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা হয়নি। মামলা কলাবাগান থানায় নাকি কেরানীগঞ্জে হবে, তা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।শিমুর বোন ফাতিমা নিশা বলেছেন, এখনো মামলা হয়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁর বোনজামাই ও বোনজামাইয়ের এক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছে। এখনো হত্যার কারণ সম্পর্কে তারা কিছু বুঝতে পারছে না।