৯০ বছর বয়সে বিয়ে করেছেন কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির পাঁচবারের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইল। আজ সোমবার বর-কনের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। নগরজুড়ে তাঁর বিয়ে নিয়ে চলছে আলোচনা। নেটিজেনরা নবদম্পতিকে শুভকামনা জানিয়েছেন। অনেকে তাঁকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন।সোমবার দুপুরে তিনি কয়েকজন আইনজীবীর উপস্থিতিতে বিয়ে করেন।
মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, ‘আমি সক্ষম মানুষ। এখনো কোর্টে যাই। বয়স আমার জন্য কোনো বাধা নয়। ইচ্ছাশক্তি ও সঙ্গীর জন্যই বিয়ে করি। আমাদের জন্য দোয়া করবেন। কুমিল্লাবাসীর কাছে দোয়া চাই।’এখন জীবনে একজন সঙ্গী দরকার, তাই তিনি মিনোয়ারা বেগমকে বেছে নিয়েছেন।
কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির প্রবীণ সদস্য মোহাম্মদ ইসমাইল ১৯৪৭ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯৪৯ সালে ইন্টারমিডিয়েট ও পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে পড়াশোনা করেন। তিনি ফজলুল হক হলের ছাত্র ছিলেন।মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান তাঁর সহপাঠী ও হলের রুমমেট ছিলেন। ১৯৭০ সালের ২ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার আদালতে আইন পেশায় যোগদান করেন। এরই মধ্যে পাঁচবার সভাপতি নির্বাচিত হন। সাত বছর আগে তাঁর স্ত্রী গত হয়েছেন। তাঁর পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন।
মোহাম্মদ ইসমাইলের বড় ছেলে আইনজীবী ইসহাক সিদ্দিকী জানান, বিয়ের সময় কিছু আইনজীবী ও আব্বার কিছু লোকজন পাশে ছিলেন।আমাকে ফোন দিয়ে বলা হয়েছে বাসায় রিসিভ করার জন্য। আমরা আব্বার এই বিয়ে মেনে নিয়েছি। তিনি জানান, তাঁর আব্বা কোথায় বিয়ে করেছেন, কাকে বিয়ে করেছেন তার কিছুই জানেন না।তিনি বলেন, তাঁর মা অনেক আগেই মারা গিয়েছেন।
হালকা–পাতলা গড়নের মোহাম্মদ ইসমাইলের মাথার পুরো চুল সাদা। ফর্সা রং। সব সময় কোর্ট-টাই পরে চলেন। বিয়ের পর ব্যক্তিগত গাড়িতে করে আদালত এলাকার বাসায় যান মোহাম্মদ ইসমাইল। এ সময় বধূবেশে পাশে ছিলেন মিনোয়ারা বেগম। দুজনের গাড়িতে বসে থাকার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে নানা মন্তব্য যুক্ত করে পোস্ট শেয়ার করেন নেটিজেনরা। অনেকে অভিনন্দন জানান।