চোরের বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠালেই মিটার ফেরত

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে চোরের রেখে যাওয়া বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠিয়ে মিটার ফেরত পেয়েছেন চালকলের মালিক আব্দুর রাজ্জাক। বিকাশে টাকা পাঠালে পার্শ্ববর্তী বগুড়ার ধুনট উপজেলার বাকশাপাড়ায় একটি খড়ের গাদার মধ্যে মিটার পাবেন বলে চিরকুটে জানিয়ে দেয় চোর। পরে সেখানে গিয়ে মিটারটি উদ্ধার করেন মালিক। একই কায়দায় অন্য দুই ব্যবসায়ীও মিটারপ্রতি ৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে ফেরত পান চুরি যাওয়া মিটার।

চোরের রেখে যাওয়া বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠালেই মিলছে চুরি যাওয়া বৈদ্যুতিক মিটার। চোরের বলে দেওয়া স্থানে গিয়ে মিটার নিয়ে আসতে হয় মিটারমালিকদের। সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলায় বেশ কিছুদিন ধরে এমনই ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকার চালকল ব্যবসায়ী ও সেচপাম্প মালিকদের মধ্যে মিটার চুরির আতঙ্ক বিরাজ করছে। 

কাজীপুর উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘দ্রুত মিটার ফেরত পেতে বাধ্য হয়ে চোরের রেখে যাওয়া বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠিয়েছি। আইনে গেলে হয়তো ফেরত পেতে সময় ও বিড়ম্বনার শিকার হতাম।’কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পঞ্চানন্দ সরকার জানান, কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তবে মৌখিকভাবে বিষয়টি জেনেছি। চোরের রেখে যাওয়া বিকাশ নম্বর শনাক্তের চেষ্টা চলছে। 

জানা গেছে, গত শনিবার (৮ জানুয়ারি) গভীর রাতে কাজীপুরের সোনামুখী ইউনিয়নের হরিনাথপুর গ্রামে অবস্থিত শাহাদত হোসেন রাজের একটি সেমি অটো মিল, রুবেল হোসেনের একটি চালকল এবং কাজীপুর উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকের একটি সেমি অটো ও একটি চালকলের মিটার চুরি যায়। চিরকুটে বিকাশ নম্বর লিখে চালকলে রেখে যায় চোর। 

Exit mobile version