পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগে শুক্রবার দুপুরে রাঙ্গাবালী থানায় একটি মামলা করা হয়। নির্যাতনের শিকার ছাত্রী স্থানীয় একটি মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। স্থানীয়রা জানায়, ওই ছাত্রী দাদাবাড়িতে থেকে পড়ালেখা করত।
নির্যাতনের শিকার মাদরাসাছাত্রীর দাদার অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খালপাড় থেকে নিজেদের ছাগল ও ভেড়া আনতে যায় তাঁর নাতনি। এ সময় জোরপূর্বক তাকে টেনেহিঁচড়ে খালের কিনারায় নিয়ে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। হাতেনাতে কয়েকজন তাকে ধরলেও তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে পালিয়ে যায় সে।
ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকজনের দাবি, জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। এদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিবারের লোকজন বলছে, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে এবং স্থানীয় কিছু লোকের প্ররোচণায় অভিযুক্তকে ফাঁসানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় দাদাবাড়িসংলগ্ন গোমাবুনিয়া খালের পাড়ে গৃহপালিত ছাগল ও ভেড়া আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় ওই ছাত্রী। ঘটনার পর রাতেই রাঙ্গাবালী থানায় গিয়ে মৌখিক অভিযোগ করা হয়। পরে শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়।
নির্যাতনের শিকার শিশুর দাদা বাদী হয়ে একজনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি কাছিয়াবুনিয়া গ্রামের মৃত ইদ্রিস হাওলাদারের ছেলে। তবে এখনো গ্রেপ্তার হয়নি সে। পুলিশ জানায়, তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকের এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।