যেসব কারণে ওমিক্রন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের আবির্ভাবের পর থেকে সারা বিশ্বে আবারও বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, নতুন এই ধরনের দ্রুত ছড়ানোর অনেকগুলো কারণ রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কারিগরি প্রধান মারিয়া ভ্যান কেরখোভে ওমিক্রন ধরন দ্রুত ছড়ানোর জন্য তিনটি কারণকে বেশি দায়ী করছেন।
উল্লেখ্য, গত বছর করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন প্রথম শনাক্ত হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়। বর্তমানে তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে এর আগেই বলেছিল, ওমিক্রন নিয়ে খুব দ্রুতই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। অন্যথায় কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হলে ডেলটাকেও ছাড়িয়ে যাবে ওমিক্রন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া এক টুইট বার্তায় গতকাল শনিবার কেরখোভে এই তিন কারণের উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, প্রথমত করোনার নতুন এই ধরনের অনেকবার জিনগত রূপ পরিবর্তিত হয়েছে। এ কারণে এটি মানুষের দেহকোষে খুব সহজেই প্রবেশ করতে পারছে। দ্বিতীয়ত, মানুষের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে এটি ফাঁকি দিতে সক্ষম। অর্থাৎ মানবদেহের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে এড়িয়ে এই ধরন দেহকোষকে আক্রান্ত করার সক্ষমতা অর্জন করে ফেলেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কারিগরি প্রধান তৃতীয় কারণ সম্পর্কে বলেছেন, ওমিক্রন করোনার ডেলটা ও অন্যান্য ধরনের মতো শ্বাসতন্ত্রের নিচের অংশ অর্থাৎ ফুসফুস আক্রান্ত করছে না। বরং শ্বাসতন্ত্রের ওপরের অংশকে সংক্রমিত করছে ওমিক্রন। এর ফলে এটি খুব দ্রুত ছড়াচ্ছে বলে মনে করেন মারিয়া ভ্যান কেরখোভে।
বর্তমানে করোনাভাইরাসের নতুন এই ধরন আফ্রিকার সীমানা পেরিয়ে ইউরোপ, আমেরিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গত সপ্তাহে বিশ্বের প্রায় ১ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।