রাজধানী তুরাগ থানাধীন বৃন্দাবন বস্তিতে নিহত রাসেল (২২) ও গ্রেপ্তার হওয়া হৃদয় (২০) বসবাস করতেন। তারা একে অপরের ছেলেবেলার বন্ধু হওয়ায় পরস্পরের বাসায় আসা-যাওয়া ছিল। এরই সূত্র ধরে হৃদয়ের স্ত্রী নুর আয়েতি আখিনুরের সঙ্গে রাসেলের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।
পরে গত ৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নিজের বাসায় গিয়ে ঘরের দরজা বাহির বন্ধ দেখতে পান তিনি। এরপর স্ত্রীকে ডাকাডাকি করলে ঘরের দরজা খুলেই হৃদয় তার স্ত্রীর সঙ্গে বন্ধু রাসেলকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান। স্ত্রীকে এ অবস্থায় দেখে রাসেলকে কিলঘুষি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে হাতের কাছে একটি ছুরি পেয়ে রাসেলের পিঠে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। হৃদয়ের স্ত্রী নুর আয়েতি আখিনুর বাধা দিতে এলে তিনিও জখম হন। পরে স্বজনরা তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার মামলার প্রধান আসামি মো. ইমাম হাসান ওরফে হৃদয়কে (২০) গ্রেফতার করেছে র্যাব। আজ শনিবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র্যাব-৮।র্যাব জানায়, বরগুনার আমতলীতে অভিযান চালিয়ে হৃদয়কে গ্রেফতার করে তারা। তিনি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ময়নামতি এলাকার মো. ইসমাইল হোসেনের ছেলে। হৃদয় ঢাকার তুরাগ এলাকার একটি বস্তিতে থাকতেন।
এ ঘটনায় রাসেলের বাবা বাদী হয়ে ৫ জানুয়ারি হৃদয়কে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর হৃদয় ঢাকার গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসযোগে কুয়াকাটায় চলে যান। এরপর তার খালাতো ভাইয়ের শ্বশুরবাড়ি বরগুনার আমতলী থানাধীন আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ গাজীপুর এলাকায় আত্মগোপন করেন। র্যাব আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে হৃদয়ের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। পরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।