জাহিদ আহসানের সামনেই হাতাহাতিতে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের দুই পক্ষ

গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের এক অনুষ্ঠানে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসানের সামনেই হাতাহাতিতে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের দুই পক্ষ। প্রতিমন্ত্রীর তাৎক্ষণিক ধমকে তারা সাময়িকভাবে থামলেও অনুষ্ঠান শেষে প্রতিমন্ত্রী সভাস্থল ত্যাগ করার পর আবার হাতাহাতি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবদুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক তপন কান্তি সরকার, মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মুশফিকুর রহমান, কলেজের শিক্ষার্থী নিলয় চন্দ্র সরকার, মিজানুর রহমান, প্রদীপ্ত স্বাক্ষর জয় প্রমুখ। কলেজের রেডিওলজি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. রাজিব হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সুশান্ত কুমার সরকার।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার বিকেলে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক এবং ইনডোর গেমস সপ্তাহের পুরস্কার বিতরণী ছিল। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুরস্কার বিতরণীর শেষ পর্যায়ে প্রতিমন্ত্রীকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে যান। কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পদ প্রার্থী নিলয় চন্দ্র সরকার কিছু নেতা–কর্মী নিয়ে প্রতিমন্ত্রীকে ফুল দিতে গেলে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল আমিন বাধা দেন। এ সময়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিমন্ত্রী তাদের ধমক দিয়ে নিবৃত করেন। তবে অনুষ্ঠান শেষে প্রতিমন্ত্রী চলে গেলে আবারও তাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে কলেজের শিক্ষকেরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শিক্ষানবিশ চিকিৎসক আল আমিন বলেন, বিষয়টি মিটমাট হয়ে গেছে। অধ্যক্ষ বিষয়টি নিয়ে পরে বসবেন। ছাত্রদের মধ্যে অন্তঃকোন্দলের কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে। অনুষ্ঠানস্থলে একজন বেয়াদবি করেছেন, আর অপরজন তার প্রতিবাদ করেছেন মাত্র।কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পদ প্রার্থী নিলয় চন্দ্র সরকার বলেন, অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে শেষ হয়েছিল। শেষ পর্যায়ে এমন ঘটনাটি ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশেষ অতিথি গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ছোট নেতা বড় নেতাকে টপকিয়ে প্রতিমন্ত্রীকে ফুল দিতে গেলে তাঁর সামনেই একে অপরকে জামা টেনে ধরেন এবং একপর্যায়ে কিছু বুঝে ওঠার আগে ঘুষির ঘটনা ঘটেছে। পরে প্রতিমন্ত্রী ধমক দিয়ে তাঁদের নিবৃত করেন।

Exit mobile version