ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য আহত হয়েছেন৷ পরে হেলমেট পরিয়ে লেখককে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঞ্চে ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতারা, সামনে অবস্থান নেন বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা৷ মঞ্চের সামনে কবি জসীমউদ্দীন হল শাখা ছাত্রলীগ ও ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পাশাপাশি অবস্থান নিয়েছিলেন। এ সময় অনুষ্ঠানে দাঁড়ানোর জায়গা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়৷
অপরাজেয় বাংলায় মঞ্চ স্থাপন করে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয় বেলা দুইটার দিকে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই দাঁড়ানোর জায়গা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দীন হল শাখা ছাত্রলীগ এবং ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে৷ উদ্বোধনীর পর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়৷
অনুষ্ঠানে দাঁড়ানোর জায়গা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তা হাতাহাতি ও সংঘর্ষে রূপ নেয়৷ দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা পরস্পরকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। তখন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সংঘর্ষ থামাতে মঞ্চ থেকে নিচে নামেন৷ এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল–ছোড়াছুড়িতে লেখকসহ কবি জসীমউদদীন হল শাখা ছাত্রলীগের ৮-১০ জন নেতা-কর্মী আহত হন। পরে ছাত্রলীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা লেখক ভট্টাচার্যকে হেলমেট পরিয়ে গাড়িতে করে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেন।
এ বিষয়ে জানতে লেখক ভট্টাচার্যের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। তাঁর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল জব্বার বলেন, লেখক ভট্টাচার্য সামান্য আঘাত পেয়েছেন। এখন সব ঠিক হয়ে গেছে৷এদিকে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছেন সংগঠনের সাবেক কয়েকজন নেতা৷ছাত্রলীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, আহত লেখক ভট্টাচার্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন৷ তাঁর মাথায় সেলাইও পড়েছে৷ পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে বিশ্রাম নিতে যান।