আওয়ামী লীগএক্সক্লুসিভকিশোরগঞ্জবাংলাদেশ

উৎসবমুখর পরিবেশে রাষ্ট্রপতির ৭৯তম জন্মদিনের অনুষ্ঠান

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ৭৯তম জন্মদিন উদ্‌যাপন করা হয়েছে কিশোরগঞ্জে। এ উপলক্ষে ৭৯ পাউন্ড ওজনের তিনটি কেক কাটা হয়েছে আজ শনিবার। ৭৯ পাউন্ড ওজনের আরেকটি কাটা হবে কাল রোববার। এ ছাড়া জন্মদিন উপলক্ষে শহরের তিনটি এতিমখানায় আজ খাবার বিতরণ ও হতদরিদ্রদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

কেক কাটা, আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ, বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়াসহ নানা আনুষ্ঠানিকতায় রাষ্ট্রপতির জন্মদিন পালিত হয়েছে কিশোরগঞ্জে।আজ বেলা ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জ পৌরসভায় প্রথম কেকটি কাটা হয়। পৌরসভার মেয়র পারভেজ মিয়াসহ এ সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বিকেলে জাতীয় প্রতীকের আদলে তৈরি ৭৯ পাউন্ডের আরেকটি কেক কাটে ইটনা উপজেলা আওয়ামী লীগ। বিকেল চারটার দিকে জেলা শহরের পুরোনো স্টেডিয়ামে রাষ্ট্রপতির জন্মদিন উদ্‌যাপন পরিষদের আয়োজনে বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে ৭৯ পাউন্ডের আরেকটি কেক কাটার পাশাপাশি আতশবাজি ফুটানো ও ফানুস ওড়ানো হয়।

পৌরসভা কার্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত রাষ্ট্রপতির জন্মদিনের মূল আনুষ্ঠানিকতার পর সেখানে শীতার্তদের মাঝে গরম কাপড় বিতরণ করা হয়। একই সঙ্গে পৌরসভার উদ্যোগে বিন্যা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। পরে ইনভেনশন শিক্ষা পরিবার ব্যানারে শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে রাষ্ট্রপতির জন্মদিন পালিত হয়। সেখানেও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের লোকজন যোগ দেয়।

এ সময় রাষ্ট্রপতির জন্মদিন উদ্‌যাপন পরিষদের সদস্যসচিব আনোয়ার কামালের সঞ্চালনায় এবং উদ্‌যাপন পরিষদের আহ্বায়ক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে রাষ্ট্রপতির জীবনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা সভা হয়। এতে বক্তব্য দেন কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ আফজাল হোসেন, জেলা জজ মো. সাইদুর রহমান খান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কামরুল আহসান, সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজল, পিপি শাহ আজিজুল হক প্রমুখ।

রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আজকের আয়োজন শেষ হয়। আগামীকাল জেলা আইনজীবী সমিতির আয়োজনে সমিতির কার্যালয়ে আরও একটি ৭৯ পাউন্ডের কেক কাটা হবে।রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি মিঠামইনের কামালপুর গ্রামে হাজি তায়েব উদ্দিন ও তমিজা খাতুনের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। হাওর এলাকা থেকে সাতবার তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ডেপুটি স্পিকার, স্পিকার ছাড়াও পরপর দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সাংসদ মো. সোহরাব উদ্দিন, প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আ ন ম নৌশাদ খান, জেলা বিএমএ সভাপতি মাহবুব ইকবালসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। বক্তারা রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দীর্ঘায়ু কামনা করে বলেন, আবদুল হামিদ বিশ্বে ব্যতিক্রম এক সাদাসিধে, নির্লোভ, নিরহংকার রাষ্ট্রপতি। কিশোরগঞ্জবাসী গর্বিত তাঁকে নিয়ে। তিনি যেন আরও দীর্ঘদিন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করে দেশের সেবা করে যেতে পারেন, সেই কামনা করেন তাঁরা।

Back to top button