সুনামগঞ্জে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার রাতে দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের ঘিলাতলী গ্রামের পাশের আমন ধানের জমিতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত মনির মিয়া (৪২) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ঘিলাতলী গ্রামের ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে প্রতিবেশী মাসুক মিয়ার ছেলে হাবিব মিয়া (২০) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে পালিয়ে বিয়ে করার জন্য তাকে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করে। এ সময় তাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দেয় সে। অবশেষে পালিয়ে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে ২৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে আনে হাবিব।
এর আগে গতকাল বুধবার রাতে দুই ধর্ষকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন ওই স্কুলছাত্রীর বাবা। গ্রেপ্তার মনির মিয়া পার্শ্ববর্তী জাহাঙ্গীরনগর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।এদিকে, ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ২২ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর মেডিকেল পরীক্ষার জন্য তাকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওইদিন রাতে তার বোন জামাই জাহাঙ্গীরনগর গ্রামের মনির মিয়া ও তার মামাতা ভাই কস্তারগাঁও গ্রামের মৃত সোনাফর আলীর ছেলে রফিক মিয়া ধানের জমিতে ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়। পরে ওই ছাত্রী তার বাবাকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানালে রাতেই তাকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মনির মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব দুলাল ধর জানান, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় মনির মিয়া নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।জবানবন্দি প্রদানের জন্য ওই ছাত্রীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।