অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ায় কিশোরীর আত্মহত্যা
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় এক কিশোরীর অশ্লীল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেখিয়ে চাঁদা দাবি করেন স্থানীয় এক যুবক। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
আজ রোববার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার নওমালা ইউনিয়নের বটকাজল গ্রামের যুগী বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।কিশোরীর নাম মোসাম্মদ সাথী আক্তার (১৭)। সাথী ওই গ্রামের আলী মৃধার মেয়ে ও নওমালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সোনিয়ার এক স্বজন বলেন, ‘সোনিয়া প্রেমের সম্পর্কের একপর্যায়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ায়। কিন্তু সেই সম্পর্কের ভিডিও তাঁর প্রেমিক আক্কাস গোপনে ধারণ করে তাঁর বন্ধু পারভেজ দ্বারা ব্ল্যাকমেল করবে তা ভাবতেই পারেনি সে। তাই ক্ষোভে অভিমানে আত্মহত্যা করেছে সোনিয়া।’
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাথী আক্তার স্থানীয় হানিফ তালুকদারের ছেলে ডিশ ক্যাবল কর্মী আক্কাস তালুকদারের (২২) সঙ্গে সাথী আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক হয়। একপর্যায়ে সম্পর্কটি শারীরিক সম্পর্কে গড়ালে তা সেলফোনে ভিডিও করে সংরক্ষণ করেন আক্কাস। কিছুদিন পড়ে ওই ভিডিওটি আক্কাস তাঁর বন্ধু আব্দুর রব মৃধার ছেলে পারভেজ মৃধাকে দেন।
এরপর থেকে পারভেজ মৃধা ওই কিশোরীর ভাই মো. রনি মৃধাকে ভিডিওর ঘটনা জানিয়ে চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত চাঁদা না দিলে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিতে থাকেন। বিষয়টি রনি তাঁর বোন সোনিয়ার সঙ্গে আলোচনা করলে মানসিক চাপে পড়ে ক্ষোভে অভিমানে আত্মহত্যা করেন সোনিয়া।
ঘটনার পড় অভিযুক্ত প্রেমিক আক্কাস তালুকদার ও তাঁর বন্ধু পারভেজ পলাতক। এই ঘটনায় বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন, ‘নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালীর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’