ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে যুবতীকে হত্যা
নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে তানিয়া আক্তার (২৩) নামে এক যুবতীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। নিহত তানিয়া আক্তার বরগুনা জেলার আমতলী এলাকার সেলিম খানের মেয়ে। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের নতুন আইলপাড়ায় শফিকুল ইসলামের বাড়িতে তার দুই বোনকে নিয়ে ভাড়ায় বসবাস করতেন। ঘটনার মূলহোতা শাহপরাণ রুবেল (৪০)কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শাহপরাণ রুবেলের একাধিক স্ত্রী ছিল এবং পরনারীতে আসক্ত ছিলেন। এক পর্যায়ে রুবেল তানিয়ার বাবার কাছে তানিয়াকে বিবাহের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু তানিয়ার বাবা তা প্রত্যাখ্যান করে। এরপরও রুবেল মাঝে মধ্যেই তানিয়াকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ই ডিসেম্বর দিবাগত রাতে তানিয়ার ভাড়া বাসায় গিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় রুবেল।
এ সময় তানিয়া একটি ছুরি নিয়ে নিজেকে আত্মরক্ষা করতে বাসা থেকে দৌড়ে বাঁচার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে পেছন দিক থেকে জাপটে ধরে ওই ছুরি দিয়ে প্রথমে তানিয়ার পেটে উপর্যুপরি আঘাত করে রুবেল। পরে তার গলা কেটে তাকে নৃসংশভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায় শাহপরান রুবেল।
সে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জের আইলপাড়া এলাকার মো. আবুল খায়েরের ছেলে। ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে সে তানিয়াকে হত্যা করেছে বলে র্যাব’র কাছে স্বীকার করে। শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে র্যাব-১১’র সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি অধিনায়ক লে, কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা এই তথ্য জানান।তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর এলাকা থেকে তানিয়ার ঘাতক শাহপরাণ রুবেলকে গ্রেপ্তার হয়। গ্রেপ্তারের পর সে প্রাথমিকভাবে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।