সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইমোতে নারী কণ্ঠে কথা বলে প্রবাসীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। নাটোর ও রাজশাহী এলাকায় এমন চক্রে দেড় শতাধিক সদস্য আছে। তারা নারী পরিচয় দিয়ে প্রবাসীদের সঙ্গে সম্পর্ক করে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দেয়। ইমো আইডি হ্যাক করেও ব্ল্যাকমেইল করে চক্রটি। এভাবে প্রবাসীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির সাইবার ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি কামরুল আহসান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নাটোর-রাজশাহী এলাকার কিছু কিশোর যুবক ইমো হ্যাকিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তাদের কাছে এটি স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা প্রবাসী পুরুষদের ইমোতে অনৈতিক কাজের প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এমন পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের পর আমরা তাদের বিশাল একটা নেটওয়ার্কের সন্ধান পেয়েছি। চক্রের প্রায় দেড় শতাধিক সদস্য এমন প্রতারণায় জড়িত।
সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, ‘আমরা দেখেছি নাটোরের লালপুর এলাকায় এই ধরনের প্রতারকদের আধিপত্য বেশি। তাদের সঙ্গে আরো এক থেকে দেড় শতাধিক সদস্য কাজ করছে। তারা সবাই একটি নেটওয়ার্কে কাজ করলেও চার-পাঁচজনের গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রতারণার কাজ করে। প্রবাসীরা এ সময় মাঝে মাঝে বিনোদনের খোঁজে ইমোতে গিয়ে শিকার হচ্ছেন।’
তিনি আরো বলেন, চক্রের সদস্যরা নারী সেজে নানা গল্প-কথায় এগুতে থাকে। একপর্যায়ে অনৈতিক কাজ করার প্রস্তাব দেন। এ সময় ভিকটিম রাজী হলে জানায়, ঘণ্টায় কাজ করতে হলে ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা দিতে হবে। এরপর টাকায় রাজী হলে মোবাইলের রেয়ার ক্যামেরায় অন্য কোনো কিশোরী বা নারীর ভিডিও চালু করে দিয়ে আড়ালে নারীকণ্ঠে প্রতারকরা কথা বলতে থাকেন। এতে ভুক্তভোগী প্রবাসীর কাছে আসল নারী মনে হতে থাকে। এক পর্যায় প্রবাসীর ইমো আইডি হ্যাক করে নেয় ওটিপি কোড হাতিয়ে নিয়ে। ইমো মালিকের কোনো অনৈতিক ছবি বা ভিডিও পেলে সেটি দিয়ে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যম লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।