দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ধানক্ষেতে ডেকে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. রিফাত হোসেন নামে একজনকে (২২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীকেও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০টার থেকে দিবাগত রাত ২টার মধ্যে ফুলবাড়ী উপজেলার ৫নং খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব নারায়ণপুর ধানক্ষেতের গভীর নলকূপের পাশে ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গেছে। গ্রেপ্তারকৃত মো. রিফাত হোসেন পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে এবং এক সন্তানের জনক।
প্রতিবেশী শ্যামল চন্দ্র রায়, বিনয় কুমার সরকার ও সুশান্ত কুমার মহন্ত বলেন, ওই কিশোরী চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। মেয়েটি নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তার বাড়ির লোকজনসহ প্রতিবেশীরা খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে গভীর নলকূপের এলাকার নির্জন স্থান থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেছে।
মেয়েটির সঙ্গে ধর্ষক রিফাত হোসেনের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই সম্পর্কের টানেই রাতে রিফাতের কাছে গিয়েছিল মেয়েটি।কিশোরীর অবস্থা দেখে ধারণা করা হচ্ছে, রিফাত হোসেন তার কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে গণধর্ষণ করেছে তাকে। এখন পর্যন্ত মেয়েটি স্বাভাবিক হতে পারছে না, তার মধ্যে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা কাজ করছে।
ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীর বাবা জানান, গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মেয়ে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। বাড়ির লোকজনসহ প্রতিবেশীরা দীর্ঘ সময় ধরে মেয়েকে খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে রাত আড়াইটার দিকে বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে পূর্ব নারায়ণপুর ফসলি জমির মঞ্জুরুল ইসলামের গভীর নলকূপ ঘরের পাশে নির্জন স্থানে তাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পায়।
পরে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এ সময় তার হাতের কবজির ওপরের অংশ ব্লেড দিয়ে কাটা অবস্থায় পাওয়া যায়। এই ঘটনার পর থানায় খবর দিলে থানা পুলিশ ওই ধর্ষিতার সঙ্গে কথা বলে আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত মো. রিফাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে, ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের বিষয়টি জানার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত রিফাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে মেয়েটি জানিয়েছে রিফাত হোসেনই তাকে ধর্ষণ করেছে। কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আজ বৃহস্পতিবার দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মেয়েটির পিতা বাদী হয়ে আজ বৃহস্পতিবার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।