শবনম ফারিয়া ‘বিতর্কিত’ সব পোস্ট সরিয়ে নিলেন
এক বছরেরও বেশি সময় আগে বিচ্ছেদ হয়েছে অভিনেত্রী শবনম ফারিয়ার। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সাবেক স্বামী অপুকে নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেওয়ার পর তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়েছিল। ফারিয়া ও অপুর পাল্টাপাল্টি ফেসবুক স্ট্যাটাসের সেই বিতর্ক গড়ায় পরিবার পর্যায়ে। সবশেষ গত সোমবার অপুর মামাও বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে মুখ খুলেছেন। পরে নিজের ফেসবুক থেকে বিতর্কিত পোস্টগুলো মুছে দিয়েছেন শবনম ফারিয়া।
ওই স্ট্যাটাসে শবনম ফারিয়া উল্লেখ করেন, স্বামীর নির্যাতনের কারণেই সংসার ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন এ অভিনেত্রী। শুধু নির্যাতনই নয়, হাতও ভেঙে দিয়েছিলেন তার স্বামী।শবনম ফারিয়ার এমন অভিযোগে পরে মুখ খুলেন অপু। তিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করে ফেসবুকে পোস্ট দেন। বিষয়টি নিয়ে তর্ক বাড়তেই থাকে। এক পর্যায়ে ফারিয়া নিজেও বলেন, ‘হাতাহাতিতে আঙুল ভেঙে যায় এবং ঘটনাটি ঘটেছে। ’
এদিকে, শবনম ফারিয়া সর্বশেষ স্ট্যাটাসে বলেন, ‘নিউজে আমার নামের সঙ্গে যার নাম বারবার আসছে তিনি বিষয়টা অস্বীকার করছেন আর এত বছর পর যেহেতু কথা উঠছে, তখন বিষয়টা প্রমাণ করা যথেষ্ট কষ্টসাধ্য। কিন্তু হাসপাতালের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ কিংবা বিল কার কার্ড থেকে পরিশোধ হয়েছে, সেগুলো বের করার সুযোগ এখনো আছে। কিন্তু যেহেতু সেই ব্যক্তির মা কল করলে আমি তাকে এখনো মা ছাড়া অন্য কিছু ডাকতে পারি না, তাই মা এবং আমার নিজের সম্মান রক্ষার্থে বিষয়টা এখানেই শেষ করতে চাই!’
এরপর সোমবার রাতে অপুর মামা পরিচয়দানকারী জুয়েল নামের একজন পোস্ট দিয়ে ফারিয়ার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ তোলেন। ওই অভিযোগে ফারিয়াকে লোভী ও অর্থলিপ্সু হিসেবে অভিযোগ তোলেন। জুয়েল জানান, ‘আমার দুলাভাইয়ের মৃত্যুর পর আপা একা হয়ে পড়ায় নিজের বাড়িতে না থেকে অন্য বোনদের কাছাকাছি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। ফারিয়া অপুদের তিন বেডরুমে ভাড়া থাকার কথা উল্লেখ করে লোভী ও অর্থলিপ্সু মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে। তবে অপুর উত্তরাধিকার সূত্রে যা আছে, তার যতটা সে জানে তা উল্লেখ করা উচিত ছিল।
যা-ই হোক, বিয়ের পর ফারিয়া তার মাসহ অপুকে নিয়ে আলাদা থাকতে চেয়েছিল, যাতে আমরা কেউ দ্বিমত করিনি। বিয়ের কেনাকাটা থেকে বিয়ের অনুষ্ঠান পর্যন্ত ফারিয়া যা চেয়েছে, যেভাবে চেয়েছে, যেভাবে অ্যারেঞ্জমেন্ট করেছে, আমার আপা তাই দিয়েছেন। যখন চেয়েছে ইন্ডিয়া গেছে, ব্যাংকক গেছে। কখনো প্রশ্ন করা হয়নি কেন বা কোথায় টাকা খরচ হবে!’
সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে ফারিয়া সর্বশেষ পোস্ট দিয়ে জানান, কয়েক দিন ধরে চলা কাদা ছোড়াছুড়ির বিষয়টি পারিবারিকভাবে সুরাহা হয়েছে। এবং আগের পোস্টগুলো তিনি মুছে দিয়েছেন। এরপর ফারিয়া নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি ‘শীতনিদ্রা’ করে রাখেন। উল্লেখ্য, একটি বিপণন প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ অপুর সঙ্গে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে আংটি বদলের পর ২০১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন শবনম ফারিয়া; এর এক বছর ১০ মাসের ব্যবধানে ২০২০ সালের নভেম্বরে দাম্পত্যজীবনের ইতি টানেন তারা।